বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, পরেশ অধিকারী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময়ই শর্ত সাপেক্ষে তাঁর মেয়ের চাকরি আদায় করেছিলেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এমতাবস্থায়, সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। পরপর তিনদিন তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।
এদিকে, মন্ত্রীর মেয়ের চাকরির প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্নের ভিড় জমতে শুরু করেছে। সেই সময় শাসকদলের কোন নেতারা তাঁর মেয়ের চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছিলেন এমনকি, কাদের সঙ্গে দলবদলের সময় মন্ত্রী কথা বলেছিলেন এইসব ব্যাপারেই ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা। এমতাবস্থায়, এবার ফের একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সিবিআইয়ের চলতে থাকা জেরায় উত্তরবঙ্গের দুই তৃণমূল নেতার নামও এবার প্রকাশ্যে আসতে পারে। আর তার জেরে কার্যত ঘুম উড়ছে শাসকদলের নেতাদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন পরেশ অধিকারী। আর তারপরেই তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার চাকরি হয়ে যায়।
এদিকে, স্থানীয়দের মতে, মেয়ের চাকরি দেওয়ার বিনিময়েই তাঁকে ঘাসফুল শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর এই কাজেই নাকি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন দলেরই দুই নেতা। এমতাবস্থায়, সেই দুই নেতার নাম নিয়েই এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে সমগ্ৰ কোচবিহারে। এদিকে, তদন্তের ভিত্তিতে মূলত, পরেশ অধিকারীর শাসক দলে যোগদানের শর্ত ঠিক কি ছিল সেটাই জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
পাশাপাশি, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের ওই দুই নেতাকেও সিবিআই তলব করবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিগত ৪৩ মাসে প্রাপ্ত অঙ্কিতার পুরো বেতন দুই কিস্তিতে আদালতকে ফেরত দিতেও বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এবার, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।