বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভাষার বিদগ্ধ জ্ঞান তবুও মুসলিম হওয়ার জন্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সংস্কৃত পড়ানো নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলি। যেহেতু হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় আর তিনি ধর্মের মুসলিম তাই টানা বারো দিন ধরে অধ্যাপক ফিরোজ খানের সংস্কৃত পড়ানো অনেকেই মেনে নিচ্ছেন না। শিক্ষা দানকে কেন্দ্র করে যেন সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে ।
ইতিমধ্যেই হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপককে কটাক্ষ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা, যদিও দেশের শিক্ষা মহল অধ্যাপক ফিরোজ খানের পক্ষেই সায় দিয়েছেন তবে এবার ছাত্রছাত্রীদের কটাক্ষের জবাব দিলেন অভিনেতা তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ পরেশ রাওয়াল। ওই মুসলিম অধ্যাপকের পাশে দাঁড়িয়ে সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভাষার কিসের সংঘাত? প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন পরেশ।
Stunned by the protest against professor Feroz Khan !what language has to do with Religion!?!?!? Irony is professor Feroz has done his masters and PhD in Sanskrit !!! For Heavens sake stop this god damn idiocy !
— Paresh Rawal (@SirPareshRawal) November 19, 2019
ধর্ম ইসলাম তাই তিনি কোনও মতেই সংস্কৃত ভাষা পড়াতে পারবেন না, আর এই দাবিতে টানা বারো দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তাল হয়েছিল। যদিও অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন, কেন সংস্কৃত পড়ানোর সঙ্গে অধ্যাপক মুসলিম হওয়ার প্রয়োজন? এমনও প্রশ্ন তুলেছেন কিন্তু তাতেও বিরোধিতায় এতটুকু ছেদ পড়ে নেই।
সম্প্রতি টুইট করে অধ্যাপক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ চলছে তা নিয়ে তিনি অবাক এমনটাই লিখেছেন পরেশ রাওয়াল একই সঙ্গে একজন সংস্কৃতি অভিজ্ঞ শিক্ষকের বিরোধিতা দ্রুত বন্ধ করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। যদিও এখানেই থেমে থাকেননি গানের জগতের অন্যতম নক্ষত্র মোহাম্মদ রফির প্রসঙ্গ তুলে যদি অধ্যাপকের মুসলিম ধর্ম হওয়ার জন্য সংস্কৃত পড়ানো যাবে না সেক্ষেত্রে মহম্মদ রফির ভজন গাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পরেশ রাওয়াল।
Stunned by the protest against professor Feroz Khan !what language has to do with Religion!?!?!? Irony is professor Feroz has done his masters and PhD in Sanskrit !!! For Heavens sake stop this god damn idiocy !
— Paresh Rawal (@SirPareshRawal) November 19, 2019
তবে ছাত্রছাত্রীরা বিরোধিতা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। যেহেতু যোগ্যতম প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে তাই ছাত্রছাত্রীদের দাবিকে কোনও ভাবেই মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।