বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শহর কলকাতার ব্যস্ততম জায়গাগুলির মধ্যে একটি হল পার্ক স্ট্রিট। বহু অফিস, রেস্তোরাঁ রয়েছে এখানে। মঙ্গলবার এই এলাকার এমনই একটি ক্যাফেতে ভয়াবহ আগুন (Park Street Fire) লাগল। গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোচ্ছে ওই বহুতল থেকে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। আগুন যাতে আশেপাশে না ছড়িয়ে পড়ে, সেটাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) যে ক্যাফেতে আগুন লেগেছে, সেটি পার্ক স্ট্রিট এবং ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থল অ্যালেন পার্কের বিপরীত দিকে অবস্থিত। পার্ক সেন্টার (Park Centre) নামের একটি বহুতল আছে সেখানে। ওই পার্ক সেন্টারের ওপরেই আগুন লাগে এদিন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই কারণে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘একমাসের মধ্যে…’! সাংসদ হয়েই চমক, যাদবপুরবাসীর জন্য বিরাট ঘোষণা সায়নীর
এদিকে অ্যালেন পার্কের বিপরীতে যে বহুতলের ওপর আগুন লেগেছে, সেটি মূলত অফিস পাড় হিসেবে পরিচিত। এর আশেপাশে বহু বিল্ডিং রয়েছে। নানান সংস্থার অফিস আছে। নিত্যদিনই এখানে প্রচুর মানুষ কাজে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই অগ্নিকাণ্ডের খবর আসা মাত্রই অফিস কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা রীতিমতো রাস্তায় চলে আসেন।
তবে জানা যাচ্ছে, যে বহুতলে আগুন লেগেছে সেখানে কেউ আটকে নেই। ওই ভবনে টিন দিয়ে একটি ব্যারিকেড করা ছিল। প্লাস্টিকের এই টিন থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে খবর। তবে যেখানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে তার ভেতরে কী ধরণের সামগ্রী মজুত ছিল সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। এমনকি আগুন কীভাবে লাগল সেটাও এখনও জানা যায়নি বলে খবর।
এদিকে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি ওই বহুতলের ভেতরে কেউ আটকে রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই অ্যালেন পার্কের পাশ দিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়া মাত্রই ৫টি ইঞ্জিন পাঠিয়েছি। সিনিয়র অফিসাররা রয়েছেন। আমি নিজেও সেখানে যাচ্ছি। আমার মনে হয় আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে’। ঘটনাস্থলে রয়েছে পার্ক স্ট্রিট এবং শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ।