বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রসিদ্ধ বিস্কুট বিক্রেতা Parle G এর সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কয়েকমাস আগে কোম্পানির খুবই খারাপ অবস্থায় আছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই Parle G কোম্পানিই কোটি কোটি টাকা লাভের মুখ দেখল। মিডিয়া রিপোর্টস অনুযায়ী, পারলে গ্রুপের লভ্যাংশ এই আর্থিক বছরে ১৫.২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়েছে। ব্যাবসায়িক সংগঠন টফলারের অনুসারে, পার্লে বিস্কুট বর্তমান আর্থিক বছর ২০১৯ এ ৪১০ কোটি টাকার মুনাফা করেছে। যেটা গত বছরে ৩৫৫ কোটি টাকা ছিল। মোট রেভিনিউ ৬.৪ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা হয়েছে। যেটা গত বছর ছয় শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ছিল।
২০১৯ এর আগস্ট মাসে পার্লে কোম্পানি খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছে। কোম্পানির অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে, ১০ হাজার কর্মীকে ছাটাই করার খবর সামনে এসেছিল। কোম্পানি ১০০ টাকা প্রতি কেজি অথবা তাঁর থেকে কম দামের বিস্কুট গুলোতে জিএসটি কম করার দাবি করেছিল। তখন কোম্পানি জানিয়েছিল, সরকার যদি তাঁদের দাবি না মানে, তাহলে তাঁরা ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেবে এর ফলে ৮ থেকে ১০ হাজার কর্মী বেরোজগার হয়ে যাবে। কোম্পানি জানিয়েছিল, বিক্রি কমে যাওয়ায় তাঁদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যদিও পার্লে জি বিস্কুট পাঁচ টাকা অথবা তাঁর থেকে কম টাকায় বিক্রি হয়।
মিডিয়া রিপোর্টসে জানা যায়, জিএসটি লাগু হওয়ার আগে ১০০ টাকা প্রতি কেজি বিস্কুটে ১২ শতাংশ ট্যাক্স লাগত। আর কোম্পানি আশা করেছিল যে, জিএসটি লাগু হলে তাঁদের বিস্কুটে ট্যাক্সের হার ৭ শতাংশ করে ৫ শতাংশ হয়ে যাবে। কিন্তু সরকার যখন জিএসটি লাগু করে, তখন ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করে দেয়। এরপর কোম্পানির কাছে উপায় দাম বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই থাকেনা। এরফলে কোম্পানির বিক্রিতে নেগেটিভ প্রভাব দেখা যায়। পার্লে সেই সময় তাঁদের বিস্কুটে পাঁচ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এরফলে বিক্রি কমে যায়।
পার্লে ক্যাটগিরর প্রধান ময়ঙ্ক শাহ বলেন, বেশি ট্যাক্স দেওয়ার কারণে পার্লের প্রত্যেক প্যাকে বিস্কুট কম করার জন্য বাধ্য হয়ে যায় কোম্পানি। এরফলে গ্রামীণ ভারতে বিস্কুটের ডিমান্ড কমে যায়। শাহ বলেন, ‘আমাদের এখানকার গ্রাহক খুবই সংবেদনশীল। তাঁরা সবসময় সচেতন ভাবে দেখে যে, তাঁদের কটি বিস্কুট দেওয়া হল।”