বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ বিপাকে আদানি গ্রুপ (Adani Group)। এর জেরে বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি সরকার। এবার এই ইস্যু নিয়ে শুক্রবার চরম অশান্তির সৃষ্টি হল সংসদে। পুরো ঘটনায় যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের দাবি করতে শুরু করেন বিরোধী পক্ষের সাংসদরা। আর তার ফলেই আগামী সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায়। অপরদিকে অদ্ভুত ভাবে শুক্রবার আদানি বিষয় নিয়ে বিরোধীদের যে বৈঠক হয়, তাতে অনুপস্থিত থাকল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
বাজেট অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আদানি ইস্যু নিয়ে আলোচনার আবেদন জানান রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লির্কাজুন খাড়গে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সইদ নাসির হুসেন, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী-সহ বিরোধী দলের একাধিক সাংসদরা। এই অবস্থায় সংসদের দুই কক্ষে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে দুপুর দুটো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। অধিবেশন আবারও শুরু হয়। কিন্তু তারপরও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এর পরই সোমবার পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভাও।
এই প্রসঙ্গে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারি বলেন, ‘ এই শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ২৬৭ ধারার আওতায় নোটিশ দিয়েছিলাম আমরা। আমরা শুধুমাত্র যৌথ সংসদীয় কমিটি অথবা প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে তদন্তের আবেদন জানিয়েছি। যখন কোটি-কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, তখন ইডি এবং আয়কর দফতর কোথায় ছিল? সরকারের চোখের সামনে শতাব্দীর সবথেকে বড় দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি। আমরা বরাবর বলে আসছি যে শুধুমাত্র নিজের বন্ধুদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সরকারি নীতি নেওয়া হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।’
এরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালের পালটা বিরোধীদের আক্রমণ করেন বিরোধীদের। তিনি দাবি করেন, ‘গতকাল সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জানান আমরা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের জন্য এসেছি। যখন আলোচনা হবে, তখন আমরা যা খুশি করতে পারি।বিরোধী সাংসদরা হয়ত সংসদকে কাজ করতে দিতে চান না। আমরা ওঁদের কাছে সংসদকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’
এদিকে শুক্রবার আদানি গোষ্ঠী নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন কংগ্রেসের সভাপতি খাড়গে। সেই বৈঠকে ১৬ টি বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না। তবে বৃহস্পতিবার খাড়গের বৈঠকে হাজির ছিল তৃণমূল। কিন্তু শুক্রবার তৃণমূলের কেউ উপস্থিত না থাকায় বাংলার শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছে সিপিআইএম।