বাংলা হান্ট ডেস্ক : আলাদাভাবে জামিনের আবেদন করেননি দু’জনের আইনজীবীই। কিন্তু দু’জনেই ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে নগরদায়রা আদালতের (Court) বিচারককে জানালেন, ‘শরীর ভাল নেই।’ যদিও তারপরও জামিন হল না শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)।
আরও একমাস দু’জনকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি আবার ফের এই মামলার শুনানি হবে। জানা যাচ্ছে এদিন পার্থর উদ্দেশে বিচারক জানতে চান কিছু বলার আছে কি না। তিনি তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানান। বলেন, তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না জেলে। অপর দিকে অর্পিতাও বলেন, তাঁর শরীর ভাল নেই। জেল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক সবাইকে সবটা বললেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে জেলের কক্ষ নিয়েও সমস্যার কথা জানান অর্পিতা। তিনি বলেন, ওই পরিসরে থাকতে তাঁর খুব অসুবিধা হচ্ছে। এসব নিয়ে অবশ্য কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। তবে দু’জনেরই চিকিৎসা ও ওষুধপত্রের বিষয়টি জেলকর্তৃপক্ষকে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে, জামিন পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও। তাঁকেও ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আলিপুর আদালত। মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিক আবারও এদিন জামিনের আবেদন করে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আর্জি জানান। ইডি সেই আর্জির বিরোধিতা করে। জানা গিয়েছে, শতরূপা ও শৌভিকের বিরুদ্ধেও শমন জারি করেছে ইডি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিতে আবারও এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
মানিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গেছে। আবার ছেলে শৌভিকের বিষয়ে ইডি তাদের চার্জশিটে লেখে, শৌভিক ভট্টাচার্য নিজেই বিএড কলেজগুলিতে গিয়ে টাকা পয়সা তুলে আনতেন।