বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam) চাদরে ঢাকা পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে দুর্নীতির তালিকা। যা নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল রাজ্যের শাসকদল। এই পরিস্থিতিতেই বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতির একটি চক্র ছিল, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) তবে কিছুটা ভিন্নভাবে।
বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপুল পরিমান দুর্নীতি হয়েছে সেই চক্রকে ধরতে না পারায় সরকারের ভুল স্বীকার করে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা চক্র এই দুর্নীতি করেছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির চক্রটাকে ধরতে পারিনি। এটা আমাদের অক্ষমতা।’’ এদিন বনগাঁয় তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেখানে এসে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন পার্থবাবু।
তবে দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কিছুটা আক্রমণ করলেও বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি সেচমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা চক্রটাকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এ বারের টেট পরীক্ষা ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে এবং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গোটা দেশে উদাহরণ হিসাবে দাড়িয়েছে। কেউ আঙুল তুলতে পারেননি।’’
পাশাপাশি ‘দুর্নীতি’ এবং ‘অনিয়ম’ নিয়েও ভিন্ন ভিন্ন বাখ্যা দেন সেচমন্ত্রী। বলেন, ‘‘দুর্নীতি এবং অনিয়ম বিষয় দু’টি আলাদা। আমি কাউকে চাকরি দিয়েছি এবং তার বিনিময়ে টাকা নিয়েছি, এটা দুর্নীতি।’’ তবে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মতনই দলীয় কর্মী- সমর্থকদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টিকে তিনি দুর্নীতি বলে মানতে চাননি। পার্থবাবু বলেন, ‘‘দলের লোককে চাকরি দিলাম কিন্তু তার বিনিময়ে টাকা নিলাম না, এটা অনিয়ম। দুর্নীতি আর অনিয়মের দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।’’
প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের দলীয় সভায় পার্থ ভৌমিকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁর যুব তৃণমূল সভাপতি নিরুপম রায়, তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ। এদিন সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বনমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিজেপি ধারাবাহিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের আক্রমণ করছে। ” রাজনৈতিক জীবনে এইরকম প্রতিহিংসা কখনও দেখেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।