বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি (SSC) মামলায় কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। এরপর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে আর এবার দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে (Bangladesh) পাচার করার অভিযোগ উঠল পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে। এখনো পর্যন্ত উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ইডির অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক টাকা দিয়ে ওপার বাংলায় একাধিক সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার হওয়ার সন্দেহে বর্তমানে ইডির নজরে রয়েছে বারাসাতের একটি টেক্সটাইল সংস্থা। উক্ত সংস্থার অনুষ্ঠানে একাধিকবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ অর্থের পাশাপাশি চটের ব্যাগ মেলায় সে বিষয়ক সন্দেহ আরো বৃহত্তর রূপ নিয়েছে। সূত্রের খবর, বারাসাতের টেক্সটাইল সংস্থার দোকান থেকে একাধিক শাড়ি ক্রয় করেন পার্থ। এ ব্যাপারে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলেও খবর সামনে উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ শে জুলাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় ২২ কোটি নগদ অর্থ, একাধিক বিদেশি মুদ্রা, ২০ টি মোবাইল ফোন এবং সোনা গয়না। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। পরবর্তীতে এই মামলায় আদালতের তরফ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতার বিরুদ্ধে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এখানেই অবশ্য ঘটনার শেষ নয়, পরবর্তীতে বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার অপর একটি ফ্ল্যাট থেকেও প্রায় ৩০ কোটি নগদ অর্থ, কোটি কোটি টাকার সোনা গয়না এবং জমির দলিল উদ্ধার করে ইডি। একই সঙ্গে পার্থ এবং অর্পিতার নামে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জমি সম্পত্তিরও হদিস মিলেছে।
উল্লেখ্য, এ সকল বিষয় নিয়ে একদিকে যখন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, আবার অপরদিকে বাংলাদেশে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের নয়া তথ্য শোরগোল ফেলেছে গোটা রাজ্যে। ফলে এ দুর্নীতির জাল কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তা জানতে তৎপর হয়ে উঠেছে ইডি। এক্ষেত্রে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে নজর রয়েছে বাংলা সহ গোটা দেশের। অবশ্য বিদেশে টাকা পাচারের সম্ভাবনা কি শুধুমাত্র গুজব, নাকি পাওয়া যাবে কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণ, তা জানতেই অপেক্ষা করে রয়েছে সকলে।