বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরও একবার আদালতে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) মন্তব্য করলেন ‘আমি একটা টাকাও নিইনি।’। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teachers Recruitment Case) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঠিকানা এই মুহুর্তে কারাগার। তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আজ বৃহস্পতিবার তাঁর বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। এজলাসে দাঁড়িয়ে পার্থ বলেন, ‘আমি একটা টাকাও নিইনি। এক টাকাও আমার থেকে উদ্ধার হয়নি।’ অবশ্য তাঁর জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর আইনজীবী। পালটা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কথা বলা হচ্ছে, এখানে আমার ভূমিকা কী? আমি তো জেল থেকে বেরিয়ে শিক্ষা দফতরে ফিরে যাব না! আর কতদিন বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলে সময় নেবে সিবিআই?”
আদালতে তোলা হলে এর আগে কোনও সময়ে তাঁকে নীরব থাকতে দেখা গিয়েছে আবার কখনও হাউ হাউ করে কেঁদেও ফেলেছেন। আবার কখনও ছলছলে চোখে বিচারকের কাছে জামিনের কাতর আবেদন করেছেন। জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন ‘সোশাল জাস্টিস’ নিয়েও।
আদালতে পার্থ একাধিকবার জানতে চান ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’র সংজ্ঞা কী?। অভিযোগ তুলেছেন তাঁর চরিত্রহননেরও। এসএসসি-র নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক অর্পণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশে হাত জোড় করে পার্থ বলেন, ‘সোশাল জাস্টিস মানে কী? বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, তার সংজ্ঞা কী?’ তাঁর অভিযোগ, ‘আমাকে বন্দি রেখে চরিত্রহনন করা হচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে কেউ আর মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবেন না। ওই পদে এ বার সিবিআই বা ইডি-কে বসিয়ে দিতে হবে।’
এদিন আদালতে বিচাপতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের ধীর গতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জানানো হয়, তদন্তের তিন ভাগ সম্পন্ন হলেও একভাগ কেন এখনও বাকি কেন রয়েছে? তবে নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে কিছুটা খুশি বিচারক।