‘বিদ্যাসাগর শিক্ষাকে ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে যান, পার্থ পিছনে ফেলে দেন”, খোঁচা ED-র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় বহুদিন জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। মঙ্গলবার আদালতে পার্থ মামলার শুনানি ছিল। আর এই শুনানিতেই উঠে এল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ। একদমই তাই, এদিন বিদ্যাসাগরের সাথে পার্থর তুলনা টেনে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে আদালতে জোর কটাক্ষ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (ED)।

এদিনের শুনানিতে এই সময় আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুনানির শুরুতেই দু’টি তারিখের উল্লেখ করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। প্রথমে তিনি বলেন ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বরের কথা। যে দিন জন্মেছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। দ্বিতীয়টি ১৯৫২ সালের ৬ অক্টোবর। যে দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় জন্ম নিয়েছিলেন।

এরপরই এই তারিখের প্রসঙ্গ তুলে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘ওই দু’দিন দু’জন মহান পুরুষ জন্মেছিলেন। এক জন বিখ্যাত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। অন্য জন কুখ্যাত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। এক জন শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। অন্য জন ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন।’’

ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্যের বিরোধীতা করে পার্থবাবুর পক্ষে সওয়াল করেন তার আইনজীবী জীবনকৃষ্ণ শ্রীবাস্তব। ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগর অসামান্য কাজ করেছেন ঠিকই। কিন্তু পার্থ কী করেছেন যে, শিক্ষা ব্যবস্থাকে পিছিয়ে দিয়েছেন?’’

ed

পাশাপাশি এদিন পার্থের আইনজীবী বলেন, ‘‘এটা সংগঠিত অপরাধ নয়। আর্থিক তছরুপের মামলা কেবলমাত্র ইডি তদন্ত করতে পারে। আমরা জামিনের আবেদন করেছি।’’ প্রসঙ্গত, গতবছর জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তারপর থেকেই জেলেই দিন কাটছে একসময়ের এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার। বহুবার জামিনের আবেদন করেও কোনো সুরাহা পানিনি পার্থবাবু। সেই ধারা বজায় রেখেই আজও জামিন অধরাই রইল তার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর