বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের প্রতি এবার হুঙ্কার ছাড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নির্দল প্রার্থীরা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার না করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে দল এমনটাই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল তাঁকে।
রাজ্যে ৪ পুরনিগমের নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের। গতকালই ফল ঘোষণায় দেখা গেছে চারটি পুরনিগমই দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। চার পুরনিগমের ভোট পর্ব মিটলেও রাজ্যের বাকি পুরসভা গুলিতেও ভোট হওয়ার কথা চলতি মাসেই। তার আগেই তৃণমূল নেতার এহেন হুঁশিয়ারিতে রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
প্রার্থীতালিকাকে ঘিরে প্রথম ক্ষণ থেকেই শোরগোল ছিল দলের অন্দরে। প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় বিক্ষোভ দেখান নেতা কর্মীরা। দল ছাড়তেও দেখা যায় একাধিক তৃণমূল নেতাকে। বিতর্ক এতদূর গড়ায় যে বিচ্ছেদের পথে হাঁটতে বাধ্য হয় তৃণমূল এবং আইপ্যাক। তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় দলের অন্দরে। পুরো ব্যাপারে রাশ টানতে দলের প্রতিটি নেতার পদের অবলুপ্তি ঘোষণা করেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গড়া হয় ২০ সদস্যের একটি কর্ম সমিতি।
বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের অনেকে দল ছাড়লেও দলে থেকেও নির্দল প্রার্থী হয়েছেন বহু নেতা। এবার তাঁদের উদ্দেশ্যই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘২৭ ফেব্রুয়ারির পুরসভা নির্বাচনে যাঁরা নির্দল হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের নাম তুলে নিতে অনুরোধ করছি। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নাম না তুললে নির্দল হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নির্দল প্রার্থীতা মনোনয়ন তুলে নেওয়ার লিখিত বয়ান না দিলে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
দলের অন্দরে একাধিক কোন্দলের পর শক্তহাতে হাল ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সব পদ অবলুপ্ত করে গঠন করা হয়েছে কর্মসমিতি। বিক্ষুব্ধ নেতাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিয়েছে দল। দলের মধ্যের ভাঙন সারাতে কোমর বেঁধে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। আর যে কোনোরকম দ্বৈততাই সহ্য করা হবে না এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় আবারও পরিষ্কার একথা।