স্নান করিয়ে দিতে হবে, চাই ছয় পিস মাংস ও চার টুকরো মাছ! জেলে আজব আবদার পার্থর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC Case) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জেলবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর মন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে দলীয় সকল পদ গিয়েছে তাঁর। তবে দমতে নারাজ প্রাক্তন মন্ত্রীমশাই। খাবার থেকে শুরু করে স্নান এবং অন্যান্য একাধিক বিষয়ে অতিরিক্ত সুযোগসুবিধা পেতে বায়না যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আর এতেই নাজেহাল পরিস্থিতি কারারক্ষীদের একাংশের।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং একাধিক সোনা গয়না মেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে দিন কাটলেও ইতিমধ্যেই একের পর এক আবদার করে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রেসিডেন্সি জেলের নিয়ম মতো মাছ এবং মাংস রান্না হলে প্রত্যেক বন্দিকে দেওয়া হয় যথাক্রমে ২ এবং ৪ টুকরো। তবে এক্ষেত্রে তাকে ছয় টুকরো মাংস এবং চার টুকরো মাছ দেওয়ার বায়না ধরেছেন পার্থ।

শুধু তাই নয়, স্নানের ক্ষেত্রেও একপ্রকার অদ্ভুত জেদ রয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল নেতার। এক্ষেত্রে নিরাপত্তার কারণে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর সেলের নিকট প্লাস্টিকের ড্রামে জল রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে পার্থের দাবি, স্নানের সময় ড্রাম থেকে জল তাঁর গায়ে ঢেলে দেওয়ার জন্য একজন লোক নিয়োগ করতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে এহেন কোন নিয়ম আইনের আওতায় পড়ে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।

তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরএকের পর এক বায়নায় নাজেহাল পরিস্থিতি কারারক্ষীদের একাংশের। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বন্দিকে দশ মিনিট কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তারা যেকোনো তিনটি নম্বরে ফোন করতে পারে। তবে জেলের ভিতর ফোন করার সময় কারারক্ষীদের নিজের ধারে কাছে থাকার অনুমতি দিচ্ছেন না পার্থ। এমনকি তাঁর সেলের সামনেও যাতে কোন রক্ষী না থাকে, সেই বিষয়টিও নজরে রেখে চলেছেন তিনি।

Untitled design 87 2

ফলে সবমিলিয়ে আবদার যেন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পার্থের সম্পর্ক ক্রমাগত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এক্ষেত্রে দিনের কোন কোন সময় পার্থের সেলের সামনে দিয়ে গেলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে নারাজ মানিকবাবু। এমনকি, মানিকের উদ্দেশ্যে মাঝেমধ্যে ডাক দিয়েছেন পার্থ। তবে কারারক্ষীদের একাংশের দাবি, সেই ডাকও এড়িয়ে গিয়েছেন একদা পার্থের ‘সতীর্থ’ মানিক।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর