বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গুরুতর অসুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বৃহস্পতিবার থেকে নাকি অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার মক্কেলের এমনই শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে অবিলম্বে তাকে জামিন দেওয়ার আবেদন জানালেন পার্থর আইনজীবী। প্রসঙ্গত রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই একে একে জামিন পেয়েছেন অনেকেই। কালীঘাটের কাকু থেকে শুরু করে তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের বহিস্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন পার্থর (Partha Chatterjee) আইনজীবীর
২০২২ সালে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে ‘শোন অ্য়ারেস্ট’ (একবার গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে পুনরায় গ্রেফতার) করে সিবিআই। তাই ইডির করা মামলায় ইতিমধ্যেই জামিন পেলেও এখনও জেলমুক্তি হয়নি তার। কারণ সিবিআই-এর করা মামলায় এখনও তার জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি পার্থর।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের করা মামলায় আজ তার জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কলকাতার বিচার ভবনে ওই জামিনের মামলার শুনানি ছিল। জানা যাচ্ছে, আজ এই মামলা চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে সিবিআই মূল যে অভিযোগ করেছে, সেই সমস্ত অভিযোগ গুলিও যুক্তিসহ খারিজ করার চেষ্টা করেছেন তার আইনজীবী। তারপরেই এই মামলার পরবর্তীতে শুনানিতে সিবিআই-কে কেস ডায়ারি আনার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: ‘বাপ কেন, চোদ্দ পুরুষ তুলব!’ ফের স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ, চিৎকার করে আর কী বললেন মহিলাকে?
আজ বিচার ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের জামিনের মামলার শুনানিতে পার্থকে জামিন দেওয়ার কারণ হিসাবে মূলত তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেছিলেন তার আইনজীবী। পাশাপাশি, সিবিআই-এর একাধিক অভিযোগ প্রসঙ্গে একের পর এক পাল্টা যুক্তি আদালতে পেশ করেছেন তিনি।
আদালত সূত্রে খবর, পার্থকে শোন অ্যারেস্ট করার পর গত বছরেরই ১৫ অক্টোবর তাকে জেলে গিয়ে জেরা করেছিল সিবিআই। কিন্তু, তারপর নাকি সব চুপচাপ ছিল। জানা যাচ্ছে, পার্থ জেলে থাকলেও তাঁকে গ্রেফতার করা কিংবা জেরা করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেননি সিবিআই গোয়েন্দারা। যদিও সিবিআই-এর অভিযোগ,প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের যে নামের তালিকা আসত, সেই তালিকার উপর তিনি নিজের হাতে কিছু নির্দেশ লিখে দিতেন। পরে অন্য একজন মহিলা আলাদা কাগজে সেই লেখা নকল করতেন।
সিবিআই-এর দাবি, পার্থর সেই হাতের লেখা উদ্ধার করা না গেলেও তার অনুলিখন উদ্ধার করেছেন তাঁরা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ওই মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়ে পার্থর আইনজীবী দাবি করেছেন গোয়েন্দারা তাঁর মক্কেলের হাতের লেখাই উদ্ধার করতে পারেননি, সেখানে সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ভিত্তিহীন।