বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একের পর এক কথা রটে চলেছে। পার্থকে দিনের পর দিন ‘চোর’ আখ্যা দেওয়া হয়ে চলেছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল’, আদালতে সওয়াল প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতার আইনজীবীর! শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে যে কোন কঠিন শর্তে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়ার আর্জি পর্যন্ত জানানো হয়েছে, যা ঘিরে ইতিমধ্যে শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
সম্প্রতি, নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে হেফাজতে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার হাতে। মাঝের বেশ খানিকটা সময় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি শেষে অবশেষে এদিন আলিপুর আদালতেরসশরীরে হাজির হন পার্থ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ বেশ কয়েক মাস ধরে হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আদালতে জামিনের জন্য বারংবার আবেদন করা হলেও এক প্রকার খালি হাতেই ফিরতে হয় তাঁকে। প্রথম দিকে সশরীরে হাজিরা দিলেও পরবর্তীতে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই আদালতে তোলা হয় পার্থকে। তবে সম্প্রতি আলিপুর আদালতের শুনানি শুরু হওয়ার মুহূর্তে আদালতে তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, পরের শুনানি থেকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই মতো এদিন অবশেষে আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে গাড়ি থেকে নামতেই পার্থকে উদ্দেশ্য করে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা আর মুহূর্তের মধ্যেই মেজাজ বিগড়ে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আঙুল উঁচিয়ে পার্থের ধমক, “চুপ করে থাকুন।”
তবে আদালতে ঢোকার মুহূর্তে কড়া মেজাজে দেখা গেলেও পরবর্তীতে আদালতের ভিতর বিচারপতির নিকট জামিনের জন্য বিনম্র আবেদন করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। এদিন পার্থর পাশাপাশি আদালতে উপস্থিত হন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং শান্তি প্রসাদ সিনহা।
পরবর্তীতে পার্থর আইনজীবী বলেন, “যে কোন কঠিন শর্তে আমার মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। পাসপোর্ট জমা রাখা হোক। নিয়মিত মনিটর করার প্রয়োজন হলে তাই করা হোক। কিন্তু দোষ প্রমাণ হওয়ার আগে তাঁকে চোর বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়। যেকোন মূল্যে জামিন দেওয়া হোক।” এখন দেখার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন প্রসঙ্গে অবশেষে আদালতের রায় কি হয়।