বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) গ্রেফতারি প্রসঙ্গ বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে খবরের শিরোনামে বিরাজ করে চলেছে। এই মামলায় একের পর এক নয়া তথ্য সামনে আসায় ক্রমশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে চলেছে আর এবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দ্বারা অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম লেখায় নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় অসন্তুষ্ট তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ জেরার পর গতকাল নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং মোবাইল ফোন ও সোনা গয়না পাওয়ার অপরাধে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। পরবর্তীতে আদালতে যাওয়ার সময় পার্থ জানান, “নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও পারিনি।” এরপরই জল্পনার সৃষ্টি হয়, তবে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে দল? যদিও পরবর্তীকালে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এক্ষেত্রে সাংবাদিক সম্মেলন করে পার্থর পাশেই দাঁড়ায় দল। গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানান, “তল্লাশিতে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ফোন নিয়ে নেয় আর সেই কারণে পার্থদা কারোর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নি।” এরপরেই তৃণমূল মহাসচিবের পাশে দাঁড়িয়ে দল জানায়, “আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে আমরা দলগত এবং সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেব।”
এরপরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ বলেন, “পার্থদা বিজেপিতে থাকলে তদন্ত হত না। আমাদের আইনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পার্থদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে আমরা প্রতিবাদে নামব।” যদিও এর মাঝে এদিন আবার ‘অ্যারেস্ট মেমো’ প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, এদিন নিজের অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সহ মোবাইল নম্বর লিখেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আসলে হেফাজতে থাকাকালীন যদি কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করতে চায়, তবে তা আগে থেকে জানাতে হয়। আর সেই সূত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম এবং মোবাইল নম্বর লেখেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট বলে জানা গিয়েছে। তবে পরবর্তীতে দলের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।