বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিশপ্ত বেহালা! যেই বেহালা (Behala Incedent) দু দিন আগেই কেড়ে নিয়েছে বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারের প্রাণ। পুরসভার লরি পিষে দিয়ে যায় ওই ছোট্ট শিশুকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।শুক্রবারের এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। একটা তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ার পর অবশেষে ঘুম ভাঙে পুলিশের।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভে, স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপে এবার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যোগী রাজ্যের আদলে এলাকায় চলছে বুলডোজার অভিযান। রাস্তা, ফুটপাত দখল করে থাকা অবৈধভাবে নির্মিত দোকান, বাড়িঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে বুলডোজার (Bulldozer) অভিযানের মাধ্যমেই এবার ধূলিসাৎ করা হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেহালার অফিস (Partha Chatterjee Office)।
২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম থেকে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই বেহালার ম্যান্টনে নিজের দফতর খোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ য় সেই অফিসের সাথেই বাইরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বসার জন্য আরও একটি জায়গা তৈরী হয়। বর্তমানে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওদিকে বেহালায় রাস্তার একাংশ দখল করে এখনও রয়েছে ম্যান্টনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিস। এবার এই নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে প্রশাসন।
জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বেহালায় ‘বেআইনি ভাবে’ তৈরী নিজের জনসংযোগ কার্যালয় থেকেই নিজের বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম দেখতেন পার্থ। ঘটনাচক্রে, আজ, সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হয়।
‘সরকারি জমি জবরদখল করে আপনার অফিস ছিল। রাস্তা চওড়া করতে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হতে পারে।’ সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে মুখ থেকে একটি শব্দও বের করলেন না পার্থ। বরং উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে আদালতে ঢুকে যান তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রীর এহেন আচরণে অনেকেই মনে করছেন দল থেকে বের করে দেওয়ার পর এখন তার অফিস নিয়ে তেমন চিন্তা নেই। বরং পার্থর চিন্তা নিজের জামিন নিয়ে।