বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় অতীতে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে ইডি (Enforcement Directorate)। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজত হয় তাঁর। আর এবার আদালতে বিশেষ আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল পার্থকে। আগামী ২১ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। একইসঙ্গে এদিন ফের একবার ‘চোর,চোর’ স্লোগান উঠলো প্রাক্তন এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, দুই মাস পূর্বে এসএসসি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ অর্থ এবং একাধিক সোনা গয়না উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজত হয় দুজনের।
একইসঙ্গে এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা আরও গুরুতর রয়েছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। সেই সূত্রে কয়েকদিন পূর্বেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সংক্রান্ত শুনানি চলাকালীন এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ২১ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন আদালতে শুনানি চলাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, “গত জুলাই মাসে আমার মক্কেলকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে এতদিন পরেও কোন চার্জশিট জমা দিতে পারেনি তারা আর এবার সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিতে চাইছে। আসলে সিবিআই এবং ইডি মিলে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছে।” যদিও অপরদিকে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসএসসি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ আর অবশেষে উভয় পক্ষের দাবি-দাওয়া শোনার পর এদিন পার্থকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। একই সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কল্যাণময়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। এক্ষেত্রে একাধিক নয়া তথ্য সামনে উঠে আসবে বলেই অনুমান তাদের। অপরদিকে, এদিন আদালতের সামনে পুনরায় একবার অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতাকে। পার্থ বলেন, “আমাকে বাঁচতে দিন। জামিন দিন আমাকে। আমি এমবিএ। এসএসসি সংক্রান্ত মামলায় আমার কোন ভূমিকা ছিল না।” পরবর্তীতে আরও একাধিক উপায়ে আবেদন জানালেও হয়নি শেষরক্ষা। একইসঙ্গে আদালত থেকে বেরোনোর সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে এদিন ‘চোর, চোর’ স্লোগান তোলে কিছু মানুষ।