বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বাংলায় তাঁকে নিয়ে একের পর এক বিতর্ক উঠে চলেছে, সঙ্গে রয়েছে আরো বেশ কিছু প্রসঙ্গ আর সেই সকল বিষয় প্রসঙ্গে এদিন শেষপর্যন্ত মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কয়েকদিন পূর্বেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেয়। যদিও সেই সময় হাজিরার হাত থেকে স্বস্তি পান তৃণমূল নেতা। কিন্তু বিতর্ক যেন পিছু কোনোমতেই ছাড়ছে না। এরপরেই তৃণমূলের শৃঙ্খলা কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলা হয় পার্থকে, সঙ্গে রয়েছে আবার অভিষেক প্রসঙ্গ আর এই সকল বিষয় নিয়ে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য করে বলেন, “আমার নাম কোনরকম দুর্নীতিতে জড়ায়নি। কেউ যতই চেষ্টা করুক না কেন, পারবে না। যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, আমিও ততদিন রয়েছি।”
গতকাল তৃণমূলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই দলে একাধিক পরিবর্তন করা হয় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জায়গায় শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয় সুব্রত বক্সীকে। এদিন এ বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি যতদিন ছিলাম, কেউ কোনো রকম দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে পারেনি। আমাদের দলের কোন বিজ্ঞ কি বলবে, তা নিয়ে আমি কিছু মন্তব্য করব না।” ফলে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি কুণাল ঘোষের করা মন্তব্যকেই ঘুরিয়ে খোঁচা মারলেন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কিছুদিন পূর্বে একটি টুইট করে লেখেন, “আমার মনে হয় 2036 সাল পর্যন্ত বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিজের কাঁধে তুলে নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” তাঁর এই মন্তব্যের পরই এদিন সেই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, “অভিষেক তরুণ প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে সেরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কারোর তুলনা হয় না। উনি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীকালে এই পদে কে থাকবেন, তা নিয়ে আমি ভাবছি না।”
এছাড়াও তিনি এদিন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন আছে, আমিও ততদিন আছি। উনি যেভাবে রাজ্য চালাচ্ছেন, তাতে তারপর কে নেতা হবে, সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই।”