বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দুয়েক আগেই ওনাকে জেলায় সহ-সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় নিজেই রানাঘাট পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। ওনার এই ইস্তফার পদ দল বদলের জল্পনা বাড়ল। জানা গিয়েছে যে, গতকাল দুপুর তিনটে নাগাদ পার্থবাবু নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
ইস্তফা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে পার্থবাবু বলেন, ‘আমার নুন্যতম আত্মসন্মানবোধ আছে। এর আগে আমাকে আচমকাই জেলার সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আমাকে তাঁর আগে শোকজও করা হয়নি। আমাকে পদ থেকে হটানোর পর আমার বাড়িতে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিল ওঁরা। সেটা আমার আত্মসন্মানে লেগেছে।”
পার্থসারথি বলেন, ‘আমাকে একবার এভাবে অপমান করা হয়েছে, আমি চাইনা আবারও আমাকে অপমান করুক। তাই আমি নিজের আত্মসন্মানের খাতিরে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে এসেছি।” পার্থবাবু আরও বলেন, ‘ওই চেয়ারের প্রতি অনেকেরই লোভ আছে। লোভী মানুষেরা এখন ওই চেয়ার পাওয়ার জন্য লড়ুক।
জানিয়ে রাখি, বেশ কয়েকদিন ধরে নদিয়া জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এসেছে। জেলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি এমনকি তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে যে, মহুয়া মৈত্র তলে তলে বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব।
পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিগত কিছুদিন ধরে দল বিরোধী কাজের নালিশ আসছিল। এমনকি অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন যে, তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। এরপর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র পার্থসারথিবাবুর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ওনাকে জেলার সহ-সভাপতি পদ থেকে বরখাস্ত করেন। যদিও পুর প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেও পার্থবাবু জানিয়েছেন যে তিনি এখনো দলেই আছেন। তবে ওনার বিজেপি যোগের জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।