অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে খোঁজ মিলল চন্দ্রযান-৩-এর ধ্বংসাবশেষের? উঠে আসছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার গ্রিন হেড উপকূলে একটি রহস্যময় বস্তুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এদিকে, এরপরেই অনুমান করা হচ্ছে যে এটি ভারত থেকে উৎক্ষেপণ করা চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-এর অংশ হতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত শুক্রবার দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিটে ভারতের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণ করা হয়। এমতাবস্থায়, চন্দ্রযান-৩ বহনকারী ৬৪২ টনের এবং ৪৩.৫ মিটার-উচ্চ LVM-3 রকেটটির ট্র্যাজেক্টোরিটি অস্ট্রেলিয়ার আকাশে ওই মহাদেশের উপর দিয়ে যেতে দেখা গেছে।

এমতাবস্থায়, টুইটারে জল্পনা শুরু রয়েছে যে, এই রহস্যময় বস্তুটি LVM-3-র একটি ধ্বংসাবশেষ হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি এখনও কিছু নিশ্চিত করেনি। পাশাপাশি ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা তথা ISRO-ও কিছু জানায়নি। এছাড়াও, মনে করা হচ্ছে যে এটি ভারত থেকে কোনো PSLV উৎক্ষেপণেরও অংশ হতে পারে।

এদিকে, একের পর এক টুইট বার্তায় অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে যে, তারা সমুদ্র সৈকতে পাওয়া ওই বস্তুটি সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে। সংস্থাটি টুইট করেছে, “আমরা বর্তমানে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জুরিয়েন বে-র কাছে একটি সৈকতে পাওয়া এই বস্তুটি সম্পর্কে অনুসন্ধান করছি। এটি কোনো বিদেশি স্পেস লঞ্চ ভেহিক্যালের সাথে সংযুক্ত হতে পারে। আমরা বিশ্বব্যাপী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করছি, যারা আরও তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হতে পারে।”

ওই বস্তুটি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে: ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি স্থানীয় লোকজনকে ওই রহস্যময় বস্তুটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার মতে, যেহেতু বস্তুটির উৎপত্তির বিষয়টি এখনও অজানা, তাই সবার উচিত সেটির কাছে যাওয়া বা সেটিকে সরানোর চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকা।

পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি আরও জানিয়েছে যে, আর অন্য কোথাও যদি কেউ এইরকম ধ্বংসাবশেষের টুকরো বা রহস্যময় বস্তু দেখতে পান তাহলে যেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সিকে বিষয়টি জানান।

ওই বস্তুটি ২ মিটার উঁচু এবং প্রায় ২ মিটার চওড়া: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই রহস্যজনক বস্তুটি ২ মিটার উঁচু এবং প্রায় ২ মিটার চওড়া। যার কারণে এটি রকেটের থার্ড স্টেজের অংশ বলে অনুমান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, মহাকাশযানের বুস্টার এবং অংশগুলি স্থলভাগে থাকা মানুষদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। যার কারণে উৎক্ষেপণের আগেই একটি সুনির্দিষ্ট এলাকাও নির্বাচন করা হয়। এমতাবস্থায়, এই রহস্যময় বস্তুটির সাথে চন্দ্রযান ৩-এর কোনো যোগাযোগ আছে কি না তা অনুসন্ধানের পরেই জানা যাবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর