দল নিয়ে ED-র কাছে মুখ খুললেন কেষ্ট! নেতার এই ‘একটি’ মন্তব্যই উল্টে দিতে পারে গোটা তদন্তের পাশা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত সপ্তাহ থেকে দিল্লির ইডির (ED) হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তার বিপুল সম্পত্তি ও আর্থিক লেনদেন নিয়ে তদন্ত চলছে। চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। প্রসঙ্গত, গতবছর সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তৃণমূলেরই আরেক হেভিওয়েট নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় গতবছর গ্রেফতার হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তবে গরু পাচার নয় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়া পরপরই তড়িঘড়ি বহিষ্কার করেছে দল (Trinamool Congress)। কিন্তু অনুব্রতর ক্ষেত্রে একেবারেই তার বিপরীত। দল থেকে সরানো তো দূর উল্টে এখনও পর্যন্ত তার পাশে আছে বলেই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতেই এবার দলের প্রতি অগাধ আস্থার কথা শোনা গেল গরু পাচারের অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রতর মুখে।

ইডি সূত্রে দাবি, কেষ্ট মণ্ডল জানিয়েছেন, “দল আমার পেছনে রয়েছে, দলের প্রতি ভরসা রাখছি।” এখানেই দানা বাঁধছে রহস্য। অনুব্রতর ওই বক্তব্যের পর দল বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন তার কিনারা করতে মরিয়া ইডি। দল বলতে পার্টি নাকি অন্যকিছু। কেষ্টর এই একটা কথায় তদন্তের গতি প্রকৃতি কিছুটা হলেও অন্যদিকে ঘুরে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরী হচ্ছে।

anubrata

অন্যদিকে, কেষ্ট গ্রেফতারির পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। একে একে তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। সংস্থার ডাকেই শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরা দেন কেষ্টর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক। ডেকে পাঠানো হয় এক রাজমিস্ত্রিকেও।

অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীরে তলব করেছিল ইডি। অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও জানা যায়। ইডির নির্দেশ মতো দুদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। তবে দীর্ঘ জেরার পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। ইডি সূত্রে দাবি, হেফাজতে মণীশ কোঠারি অনুব্রতর বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য সামনে আনছেন।

কোঠারির গ্রেফতারির পেছনে বড় কারণ হল অনুব্রতর মেয়ের বয়ান। নিজের বিপুল সম্পত্তির কথা বলতে গিয়ে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, টাকাপয়সার খবর বাবা ও মণীশবাবু জানেন। অন্যদিকে, অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকেও ফের তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও খবর রয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি অনুব্রত মণ্ডলের হেফাজত শেষ হচ্ছে। তার আগে দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছতে কেষ্টর উপরে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর