বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোরখপুরের মেহমুদ ওরফে জুম্মন বাবা আর পারভেজ পরবাজের (Parvez Parvaz) বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হল। আর আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে আজীবন কঠোর কারাবাস এবং ২৫ হাজার টাকার জরিমানার সাজা ঘোষণা করেছে। এটা সেই পারভেজ, যে ২০০৭ এর দাঙ্গা নিয়ে তৎকালীন গোরখপুরের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। উল্লেখ্য, ধর্ষণের দায়ে জুম্মান বাবা দুই বছর ধরে জেলে বন্দি আছে।
প্রসঙ্গত, জুম্মান বাবা ঝাড়ফুঁক করায় প্রসিদ্ধ। এক মহিলা যিনি নিজের স্বামীর থেকে আলাদা থাকতেন তিনি ঝাড়ফুঁকের জন্য মগহর মাঝারে যেতেন। সেখানে জুম্মান বাবা ওনার ঝাড়ফুঁক করত। মহিলা জানান, দরগাহে ঝাড়ফুঁক করিয়ে উনি শান্তি পেয়েছিলেন। এরপর ৩রা জুন ২০১৮ এয় জুম্মান বাবা রাত ১০ঃ৩০ ওই মহিলাকে দোয়া করানোর বাহানায় ডাকে, এরপর একটি নির্জন স্থানে গিয়ে আরেকজন ব্যাক্তির সাথে মিলে মহিলার গণধর্ষণ করে।
মহিলা জানান, আরেক ব্যাক্তিকে জুম্মান বাবা ভাই বলে ডাকত। ঘটনার পর ওই মহিলা ১০০ নাম্বারে কল করে পুলিশ ডাকেন। আর পুলিশ এসে ওনাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, জুম্মান বাবা ২৭ জানুয়ারি ২০০৭ এ গোরখপুর রেলওয়ে স্টেশনের গেটের সামনে যোগী আদিত্যনাথের বিতর্কিত বয়ান দেওয়া আর তাঁর কারণে গোরখপুর এবং তাঁর আশেপাশের জেলায় বড়সড় দাঙ্গা হওয়ার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করেছিল।
আবেদনে আদালতে হেট স্পিচ আর তাঁর কারণে হওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসায় ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এরপর রাজ্যে বিজেপির সরকার হওয়ার আর যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্যের প্রধান সচিব ওই দাঙ্গা মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দেবে না বলে জানিয়ে দেন। উত্তর প্রদেশ সরকার দ্বারা এই মামলা না চালাতে দেওয়ার পর এলাহাবাদ হাইকোর্টও যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর আবেদন খারিজ করে দেয়।