বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিন থেকেই বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থা বিভিন্ন পুজো ক্ষেত্রে পশু বলি দেওয়া নিষিদ্ধ তাঁর দাবি জানিয়ে আসছে৷ এ বার সেই পথে হেঁটে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট৷ ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে আজ থেকে রাজ্যের সমস্ত মন্দিরে বন্ধ হয়ে গেল পশুবলি প্রথা৷ শনিবার জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্র এই রায় দিয়েছেন৷ বিভিন্ন পুজো ক্ষেত্রে মানত হিসেবে বিভিন্ন পশু বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে হিন্দু ধর্মেই কিন্তু ধর্মের নামে পশু বলি দেওয়া এক প্রকার অপরাধ তাই বিভিন্ন রাজ্য পশুবলি প্রথা বন্ধ করার জন্য সরব হচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷
সেই মতো এক বছর আগে দুর্গাপুজোর মুখে পশুবলি প্রথা নিষিদ্ধ করার জন্য ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি সুভাষ ভট্টাচার্য৷ তিনি বিভিন্ন দুর্গা মন্দির থেকে কালী মন্দিরে এবং বারোয়ারি পুজো পশু বলি যাতে বন্ধ হয় তার সপক্ষে মামলা দায়ের করেছিলেন৷ টানা এক বছর ধরে প্রাক্তন বিচারপতি লড়াই চালিয়েছিলেন৷ মানবিকতার খাতিরে অন্তত পশু বলে দেওয়া বন্ধ হোক এই দাবি ছিল তাঁর৷ ঠিক এক বছরের মাথাতে অবশেষে জয় হল সুভাষবাবুর৷ ত্রিপুরা হাইকোর্ট রাজ্যের সমস্ত মন্দির বা বারোয়ারি প্রাঙ্গণে পূজার সময় পশু বলি দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করল৷
শুধুমাত্র প্রাক্তন বিচারপতি সুভাষ ভট্টাচার্য নন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী ছাড়াও অনেকেই পশুবলি নিষিদ্ধ করার সপক্ষেই ছিলেন৷ উল্লেখ্য মাস কয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গেই যাতে পুজোর সময় পশু বলি বন্ধ হয় তার জন্য বর্ধমানের একটি পশুপ্রেমী সংস্থা রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি দেয়৷ ধর্মের নামে নিরীহ পশুদের পশুবলি দেওয়া বন্ধ করতে হবে, এই দাবি জানিয়ে আসছে তারা৷ যদিও সেই বিষয়ে এখনও অবধি কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি কিন্তু পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা রাজ্যে ধর্মের নামে পশু বলি দেওয়া বন্ধ হওয়ায় যথেষ্টই খুশি ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও৷
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা