বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাতে আর বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই শুরু হবে বাঙ্গালীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। তবে দুর্গাপুজো যেমন আনন্দের, তেমনই আবার অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে। ভিড়ের ঠেলায় ঘটে অঘটন। আর তাই যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিবার নানারকমের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়। আর এবার পুজোর আগেই যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হলো?
আরজি কর কাণ্ডের পর তিলোত্তমা যেনো শান্ত হয়ে গিয়েছে। উৎসবের আমেজ, সুর সমস্ত কিছুই ফিকে। কিন্তু তবুও আগের মতো কোনো মেজাজ না থাকলেও দুর্গাপুজো বাঙ্গালীদের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে বদ্ধ পরিকর রেল (Indian Railways)। দুর্গাপুজোর সময় যাতে রেললইনের আসেপাশের মণ্ডপে দর্শনার্থীরা দুর্ঘটনার কবলে না পড়েন, তার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করল পূর্ব রেল।
জানা গিয়েছে, যাত্রী (Passenger) সুরক্ষা মোতায়েন করবে রেল রক্ষীর বিশেষ দল। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখা হবে। আসলে বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, রেললাইনের ১০ থেকে ২০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত পুজো মণ্ডপের সংখ্যা ৫০-এর কাছাকাছি। রেলের ট্র্যাক থেকে ১০-২০ মিটারের মধ্যে যে সমস্ত প্যান্ডেল থাকবে, সেসব জায়গায় মোতায়েন থাকবে রেল সুরক্ষা বাহিনীর বিশেষ ফোর্স।
আরোও পড়ুন : তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের নথিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সই! আরজি কর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়!
রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, পুজোর আবহে আরও বেশ কিছু বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। পুজোর সময় বিভিন্ন জেলা থেকে বহু মানুষ কলকাতায় প্রতিমা দর্শন করতে যান। এরফলে বিশাল ভিড় থাকে লোকাল ট্রেনগুলিতে। আর তাই এই কারণে শিয়ালদা ডিভিশনে (Sealdah Division) মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনে জেনারেল কোচের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে রেল। শুধু তাই নয় সেইসাথে লেভেল ক্রসিংয়ে থাকবে রেল প্রোটেকশন ফোর্স।
এমনকি একই সাথে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত ট্রলি মুভমেন্ট বন্ধ রাখা হবে। এইসময় শিয়ালদায় অতিরিক্ত ৫টি টিকিট কাউন্টারও থাকছে। এরমধ্যে ৪টি থাকছে শিয়ালদহ মেন এবং একটি থাকছে শিয়ালদা সাউথ সেকশনে। এছাড়াও জানা যাচ্ছে শিয়ালদা, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটি, বালিগঞ্জ, সোনারপুর, কলকাতা, কাঁচরাপাড়া, ব্যারাকপুর, মাঝেরহাট, কৃষ্ণনগরের মতো স্টেশনে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরোও পড়ুন: রাজন্যাদের ছবি আটকাতে এবার যা বললেন প্রধান বিচারপতি…! তুমুল শোরগোল শুরু
এখানেই শেষ নয় সব স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জলের ব্যবস্থা। পুজোর এই কয়েকদিন মহিলা, শিশু এবং প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তার উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এমনকি সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনের জন্য থাকছে আরপিএফ এসকর্ট। উল্টে বিকেল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্কাউট, অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের রাখা হবে যাত্রীদের সুবিধার্থে।