বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা মহামারির মধ্যেই হরিদ্বারের (Haridwar) পতঞ্জলী রিসার্চ সেন্টার (Patanjali Research Center) দাবী করল, আয়ুর্বেদ ফর্মুলা ব্যবহার করে তারা এই রোগের ঔষধ নির্ণয় করে ফেলেছে। যার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে শেষ পর্যায়ের। দ্রুতই মিলতে চলেছে সুফল। রোগ নিরাময় হতে চলেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের।
চলছে ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ
সমগ্র বিশ্বের বিশেষজ্ঞ এবং বৈজ্ঞানিকরা করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের কাজে মনোনিবেশ করেছে। কাজ চলছে জোরকদমে। দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে, এই ভাইরাসের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য। ট্রায়াল চলছে বিভিন্ন ভ্যাকসিনের উপর।
ওষুধ আবিষ্কারের লক্ষ্যে আমেরিকাও
আমেরিকার বায়োটেক কোম্পানি আগামী জুলাই মাসে করোনা ভ্যাকসিনের শেষ ট্রায়াল করার ঘোষণা করেছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের উপর হতে চলেছে এই ট্রায়াল। প্রতি বছর প্রায় ৫০ কোটি ডোজ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থাও করছে সংস্থাটি। মে মাস থেকে শুরু হয়েছিল এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল প্রক্রিয়া। আমেরিকার ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনের ফাইনাল টেস্টিং করছে। এই তালিকায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে প্রস্তুত ভ্যাকসিনও রয়েছে। আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা টিবি এবং পোলিওর ভ্যাকসিন নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাছে। এমনকি করোনা ভাইরাসের প্রসার রোধে পোলিও ভ্যাকসিনও কার্যকরী হচ্ছে বলেও দাবী জানাচ্ছে তারা।
মিলিত ভাবে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে চায়না সংস্থাও
অপরদিকে চীনের একটি বায়োটেক কোম্পানি ব্রাজিলের নাগরিকদের উপর করোনা প্রতিষেধকের ফাইনাল ট্রায়াল করতে চলেছে। ব্রাজিল সরকার ঘোষণা করেছে, চীনা সংস্থা সিনোভেক ব্রাজিলের প্রায় ৯ হাজার সংক্রমিত মানুষের উপর পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্টিং কিট পাঠাবে। আগামী মাস থেকে এই পরীক্ষা শুরু করা হবে। এরই মধ্যে বেজিং ইন্সটিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টের সঙ্গে মিলিত ভাবে চায়না ন্যাশানাল বায়োটেক গ্রুপ পশুদের উপর একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করেছে। চীন দাবী করছে তাঁদের এই আবিষ্কারের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব সুস্থ হয়ে উঠবে।
ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবী করল পতঞ্জলী রিসার্চ সেন্টার
বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও চলছে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ। এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের পতঞ্জলী রিসার্চ সেন্টার করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তির জন্য ভ্যাকসিনের আবিষ্কারের দাবী করেছে। আচার্য্য বালকৃষ্ণ জানিয়েছেন, এই পদ্ধতির মাধ্যমে শতাধিক বিভিন্ন বয়সের করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ রোগী মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। এই ওষুধের ক্লিনিক্যাল কন্ট্রোল ট্রায়াল চলছে। এর ফলে করোনা সংক্রমিত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠবেন।