বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেশ হইচই করেই করোনিল লঞ্চ করেছিল বাবা রামদেবের (baba ramdev) সংস্থা পতঞ্জলি (patanjali) । কিন্তু লঞ্চ হতেই ধাক্কা খেয়েছিল করোনিল (coronil)। আইসিএমআর এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিল। শনিবার দায়ের হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলাও। এবার জেলযাত্রা ঠেকাতেই কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে বিপরীত অবস্থানে বাবা রামদেবের পতঞ্জলি।
পতঞ্জলি জানিয়েছে, তারা করোনা আক্রান্তের ওপর করোনিলের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করেছিল। তাতে সাফল্যও মিলেছে। তবে সংস্থার পক্ষ থেকে কখনই দাবি করা হয়নি করোনার প্রতিষেধক করোনিল। এই নতুন দাবিতে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়েছে। ধাপ্পাবাজির অভিযোগও হয়েছে বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, শনিবার বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, বৈজ্ঞানিক অনুরাগ বর্ষণেই, এনআইএমএসের (NIMS) চেয়ারম্যান ড. বলবীর সিং তোমার এবং অধিকর্তা ড. অনুরাগ তোমারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। ৪২০ সহ একাধিক ধারায় রজু হয় মামলা।
প্রসঙ্গত, পতঞ্জলির এই ওষুধ প্রয়োগে সাময়িক বিরতি জারী করেছে আয়ুশ মন্ত্রলয়। ওষুধ সম্পর্কে আয়ুশ মন্ত্রালয় পতঞ্জলি সংস্থাকে জানিয়েছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই ওষুধের পরীক্ষা আবারও করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ওষুধের ব্যবহার এবং সমস্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে।
পতঞ্জলি সংস্থা দাবী করেছিল, তাঁদের আবিস্কৃত এই ওষুধ বর্তমান সময়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে প্রথম আয়ুর্বেদিক ওষুধ। পতঞ্জলি যোগপিঠ বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘দিব্যা করোনিল ট্যাবলেট’ সহ তিনটি ওষুধ বাজারে প্রকাশ করেছিল। এই করোনার কিটে করোনিল ছাড়াও ইনহেলার ভ্যাটস ছিক। রামদেব বাবা জানিয়েছিলেন, এই তিনটি ওষুধের মিলিত প্রভাবে করোনা ভাইরাসকে রোধ করা সম্ভব।