বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানের জয়পুর থেকে একটি অবাক করা মামলা সামনে আসছে। সেখানে ডাক্তাররা এক রোগীর ব্রেন টিউমার সার্জারি করেন আর সেই সার্জারির পুরোটা সময়ই রোগী গায়ত্রী মন্ত্রের জপ করতে থাকেন। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা এই সার্জারির সময় রোগীকে বেহুঁশ করা হয়েছিল না। এই সার্জারি করার জন্য চিকিৎসকরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ৫৭ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান রিধমলরাম মিরগি রোগে ভুগছিলেন। ওনার যখন মিরগি হত, তখন তিনি কিছুক্ষণের জন্য বোবা হয়ে যেতেন। এরপর তিনি যখন চিকিৎসকদের কাছে যান, তখন জানা যায় যে ওনার ব্রেনে একটি টিউমার রয়েছে। আর এই কারণেই ওনাকে এই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।
টিউমার এমন জায়গায় ছিল যে, কোনও ভুল হলেই আজীবনের মতো তিনি বলার শক্তি হারিয়ে ফেলতেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাক্তন সেনা জওয়ান জয়পুরের হাসপাতালে যান। সেখানকার নিউরো সার্জেন ডাক্তার কেকে বন্সলের তত্বাবধানে চিকিৎসকদের টিম চার ঘণ্টা ধরে অপারেশন করেন। এবং শেষে তা সফলও হয়। সার্জারির সময় প্রাক্তন সেনা জওয়ান সম্পূর্ণ জ্ঞানে ছিলেন আর গোটা সময় তিনি গায়ত্রী মন্ত্রের জপ করতে থাকেন।
সার্জারি নিয়ে চিকিৎসক কেকে বন্সল বলেন, অপারেশনের সময় রোগীকে বেহুঁশ করে নেওয়া হয়। কিন্তু অবেক ব্রেন সার্জারির সময় রোগী হুঁশেই থাকে। আর রোগী হুঁশে থাকার কারণে ডাক্তাররা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় নজর রাখতে পারেন এবং সঠিক জায়গায় সার্জারি করতে পারেন। এই মামলায় রোগী লাগাতার গায়ত্রী মন্ত্র জপ করা আর তাঁর আঙুল নড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কারণ একটা ভুল রোগীর বাকশক্তি আজীবনের মতো কেড়ে নিত।