বাংলা হান্ট ডেস্ক: যতই মেঘ রোদ্দুর উকি ঝুঁকি খেলুক, যতই মেঘলা আকাশ ঝরাক বরিষ ধারা। কিন্তু তাও, বাঙালির কাছে একটাই সত্যি এখন, পুজো আসছে। আর মাত্র কয়েক দিন। তারপরই বেজে উঠবে ঢাকের বাদ্যি। তাল মেলাতে তৈরি বাঙালিও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ, শহর কলকাতা মুড়ে যাচ্ছে আলোর রোশনাই তে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কোথাও থিম, কোথাও বারোয়ারি। থিম পুজোর উদ্যোক্তা থেকে শিল্পীরা শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় রাত দিন পরিশ্রম করে মণ্ডপের মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে তাদের অভাবনীয় সব ভাবনা।
এমনই এক অসাধারণ ভাবনা দিয়ে নিজেদের মন্ডপ কে সাজিয়ে তুলতে চলেছে পাটুলি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। তাদের এবারের পুজোর মধ্যে দিয়ে তারা মনে করিয়ে দেবে পাশের বাড়ির সেই ছোট্ট মেয়েতিকে যে সুযোগ পেলেই লুকোচুরি খেলে, আচার চুরি থেকে পুতুল পড়া, ছোট্ট পায়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়ানোর সেই মেয়েটিকে, যে দুগ্গা। সেই মেয়েটি ই আবার হয়ে ওঠে সম্পূর্না নারী, ছোটবেলার ফ্রকের জায়গায় গায়ের আবরণ তখন শাড়ি। একদিকে সংসার, বাজার, আপনজনের দ্বায়িত্ব থেকে কাজ। সবদিক সামলে , সব সম্পর্ক সামলে সে হয়ে ওঠে দশভূজা, সে হয়ে ওঠে দুর্গা। তার এই দুগ্গা থেকে দুর্গা হয়ে ওঠার গল্প দিয়েই মণ্ডপ সাজাচ্ছেন শিল্পী অরিন্দম দাস। সেই মতনই মণ্ডপ ও তৈরি হচ্ছে শাড়ি কেটে কেটে।তাদের এই ভাবনা কতটা দর্শকদের মন জয় করে নিতে পারে তা দেখা অবশ্য কেবলই সময়ের অপেক্ষা।