বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে খুলে গেল পেলজেসাক সেতু। এই সেতুটি নির্মাণ করেছে চীন। সেতুটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ৪২৭৪ কোটি টাকার বেশি। সেতুটি নির্মাণের ফলে ক্রোয়েশিয়ার দুব্রোভনিক শহরে যাওয়া এখন খুবই সহজ হয়ে গেলো। স্থানীয় গণমাধ্যম এই সেতুটিকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছে। ২.৪ কিমি ক্যাবল দিয়ে তৈরি এই সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৫ মাইল।
এই সেতু নির্মাণের ফলে ‘মধ্যযুগীয় প্রাচীরের শহর’ ডুব্রোভনিক পৌঁছানো সহজ হলো অনেকটাই। এই সেতুটি ৬টি পিলারের উপর স্থাপিত। একই সঙ্গে সেতু নির্মাণের ফলে ক্রোয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলও পেলজেসাইকাক উপদ্বীপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এই সেতু উদ্বোধনের পরে ফাটানো হয় প্রচুর পরিমাণ আতশবাজি, একটি এয়ার শোও আয়োজন করা হয়েছিল এই সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে।
ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলেছেন। তিনি টুইটারে এই সেতুর ছবিও শেয়ার করেছেন। দেখা যাচ্ছে, সেতুটি উদ্বোধনের পর সেখানে প্রচুর আতশবাজি ফাটিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সেতুটি নির্মাণের দরপত্র দেওয়া হয় । এরপর চীনা কোম্পানি এলিগ্যান্ট এটি নির্মাণ শুরু করে। সেতুটি নির্মাণে সহায়তা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশেষ বিষয় হলো এই সেতুটি ক্রোয়েশিয়ার প্রতিবেশী দেশ বসনিয়াকে বাইপাস করেছে।
সম্প্রতি পেলজেসাক ব্রিজটি খোলা হলে, প্রচণ্ড গরম সত্ত্বেও ক্রোয়েশিয়া থেকে লোকজন এটি দেখতে ভিড় জমান। একই সঙ্গে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং তার ভিডিও বার্তায় বলেন, এই সেতু চীনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ক্রোয়েশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে মজবুত করতে সাহায্য করবে