বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাঁড়ে মা ভবানী। কোষাগার শূন্য রাজ্যের। ফলে বন্ধ শিক্ষকদের পেনশন সহ একাধিক অবসরকালিন আর্থিক সুযোগ সুবিধা। বিগত ৬ মাস ধরেই রাজ্যে পেনশন পাননি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা। সঙ্কটের মুখে হাজার হাজার শিক্ষকের জীবন। কবে মিলবে সুরাহা, কার্যত সেই উত্তরও নেই সরকারের কাছে।
টাকা নেই রাজ্য সরকারের কাছে। তাই শুধু পেনশনই নয়, বন্ধ হয়ে গিয়েছে গ্র্যাচুয়িটিও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকের অভিযোগ, ‘পেনশন অফিসে গিয়ে যতবারই খোঁজ নিই বলা হয় দেরি হবে। কত দেরি সেই উত্তরও দেয় না কেউ। কবে আবার পেনশন পাব কোনও ঠিক নেই তার।
সল্টলেকের পুর্ত ভবনে রীতিমতো রোজই লাইন দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা। ছয় মাস আগে অবসর নিলেও শিকে ছেঁড়েনি তাঁদের ভাগ্যে। সমস্ত কাগজপত্রে ডি আই অফিসের অনুমোদন মিললেও ডিপিপিজি অফিসে গিয়েই আটকে যাচ্ছে পুরো প্রক্রিয়া। মাসের পর মাস কাটলেও সদুত্তর দিতে পারছে না রাজ্যের অর্থ দপ্তরের অধীন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
এহেন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে কার্যতই দিশেহারা অবস্থা বর্ষীয়ান প্রাক্তন শিক্ষকদের। অনেকেরই সংসার সম্পুর্ণ রূপে নির্ভর করে থাকে এই পেনশনের উপর। বৃদ্ধ বয়সে অনেকটাই নিরাপত্তা দেয় গ্র্যাচুয়িটির টাকাও। ফলে দীর্ঘদিন ধরে তা আটক্র থাকার অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বহু শিক্ষকই। সঙ্কটের মুখে তাঁদের জীবন এবং পরিবার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এরই মধ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়োগ করা হল শিক্ষক পদে তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ছাত্রছাত্রীরা যে কোনও জাতির ভবিষ্যৎ। আর তাদেরকেই তৈরি করেন শিক্ষকরা। কিন্তু রাজ্যে শিক্ষকদের এহেন দুরাবস্থায় কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে বাঙালির ভবিষ্যৎ, সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে সামনে আসছে বারবার।