বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একি কাণ্ড! ন্যায্য পেনশনের (Pension) দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তবে সরকারি নথি থেকে যে তথ্য সামনে আসছে তাতে ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। জানা যাচ্ছে, মৃত্যুর প্রায় তিন মাস পরে ওই শিক্ষক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। একি ভৌতিক বিষয়! থ বিচারপতি।
চলতি সপ্তাহেই এমনই মামলা উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। মামলার শুনানি চলাকালীন রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে যান বিচারপতি। সমস্ত বিষয় শুনে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছে। এদিকে মামলাকারীর পক্ষ ওই মামলা খারিজ করার আর্জি জানানো হয়।
এই বিষয়ে বিচারপতি যথাযথ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিতে পারলেও তা না করে বিচারপতি মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। বিচারপতি জানিয়েছেন, এই মামলায় আগে মামলাকারীকে পেনশন নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
মূল ঘটনা: জানা গিয়েছে, এক স্কুলশিক্ষক ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে পেনশন সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন। সেই সময় ন্যায্য পেনশন দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দেন বিচারপতি। এবারে ২৫ এ এসে ফের চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে।
মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার আদালতকে জানায়, পূর্বের দেওয়া নির্দেশ পালন করার জন্য খোঁজখবর করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ওই মামলা দায়ের করার আগেই মামলাকারী মারা গিয়েছেন। রায়ে বিচারপতি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেছেন ওই শিক্ষক। এদিকে ২৩ সালেরই ১৮ জুন মারা গিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: বাড়ছে তাপমাত্রা, এরই মধ্যে টানা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি একাধিক জেলায়: আবহাওয়ার খবর
তাহলে কিভাবে দায়ের হল মামলা? আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, এই ধরণের ভুলভ্রান্তি তখনই হয় যখন মামলা ঠিকঠাক দায়ের না করা হয়। হাইকোর্টে মামলা করতে গেলে একাধিক নিয়ম মানতে হয়। সেই সব নিয়ম সঠিক মতো পালন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে এই ঘটনার পর।