বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্চ মাসে পেনশন (Pension) তুলেছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু, এপ্রিলে পেনশন তুলতে গিয়েই বিপত্তি বাধল লক্ষ্মী ব্যানার্জির। হঠাৎ দেখলেন ব্যালেন্স শূন্য। এরপরেই তড়িঘড়ি তিনি ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের শরণাপন্ন হন। আর তারপর ব্যাঙ্কের তরফে লক্ষ্মীদেবীকে যেকথা জানানো হয়, তা শুনে তো লক্ষ্মী ব্যানার্জির চক্ষু চড়কগাছ।
ঠিক কী ঘটেছিল ওই অ্যাকাউন্টে ? জানা গিয়েছে যে, ২০১৭ সালে লক্ষ্মী দেবীর স্বামী গৌতম ব্যানার্জি মারা যাওয়ার পর তাদের স্টেট ব্যাংকের (SBI) অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে পেনশনের টাকা ঢোকে। কিন্তু হঠাৎ করেই এই পেনশনভোগীর অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ক্রেডিট হয়। তারপরেই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ রাতারাতি ওই অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছে।
এখন স্বাভাবিকভাবেই, কী করে তাদের সংসার চলবে সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে বাদুড়িয়ার (Baduria) ব্যানার্জি পরিবারের। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, বেঙ্গালুরু থেকে তার অ্যাকাউন্টে টাকাটি ঢোকে এবং অ্যাকাউন্টটি বেঙ্গালুরু থেকেই সিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই, বাদুড়িয়া শাখা থেকে স্টেটমেন্ট নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সূত্রের খবর, বাদুড়িয়া (Baduria) পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা বছর ৪৭ এর লক্ষ্মী ব্যানার্জি। তার ছেলে এখনও বেকার। ফলে, পেনশনই একমাত্র ভরসা লক্ষ্মী দেবীর। এদিকে, এসবিআইএর ওই অ্যাকাউন্টে তাঁদের জমানো এক লক্ষ ২৩ হাজার টাকাও তুলতে পারছেন না তারা। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন লক্ষ্মীদেবী। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
অন্যদিকে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি মিটতে অন্তত তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। কিন্তু, এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যানার্জি পরিবারের অ্যাকাউন্টে কিভাবে এল তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কোন সঠিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত অ্যাকাউন্টটি খোলা যাবে না। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো টাকা সাদা করার জন্য ওই পেনশনভোগীর অ্যাকাউন্টকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।