করোনা তাড়াতে নদীর জলে বরফ ফেলে শীতল করতে ব্যস্ত লোকজন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার প্রকোপ যেন দিনে দিনে বেড়ে চলছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আর এই মহামারীর সংক্রমণ  থেকে বাঁচতে বিভিন্ন দেশের গবেষকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথেও বিভিন্ন দেশের লোকেরা ভগবানের উপাসনা করছে। তারা নানারকম কৌশলও মানত করছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি নিত্যদিন করোনার পুজো করেন। যাতে সবাই সুস্থ থাকতে পারে। আর দেশে যেন কোনও রকম অনিষ্ট না হয়। এমনই আরেকটি ঘটনা চোখে পড়ল গুজরাটের (Gujarat) সুরাটে (Surat)।

জানা গিয়েছে, এখানকার এক বণিক প্রত্যেক দিন ৫০০ কেজি বরফ দিয়ে তাপি নদীকে শীতল করার ব্রত করেছেন। বরফ দেওয়ার সময় বণিকের এক ব্যবসায়ী বলেন যে, আমাদের শেঠ এক সপ্তাহে ৩৫০০ কেজি তুষার সরবরাহ করেন।  বনিক মনে করেন যদি এই নদীকে ঠাণ্ডা রাখা হয় তাহলে করোনা সংক্রমণ থেকে মানুষ অনেকটাই রক্ষা পাবেন। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন সারা দেশ।

Corona iStock 1201511735 1 1587108923 1590642831

উল্লেখ্য, তাপি নদী গুজরাটের সুরাটে অবস্থিত। এর আদি নাম তাপ্তী নদী। মধ্য ভারতের নদী। যা ৭২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই নদীটি উপদ্বীপীয় ভারতের অন্যতম প্রধান নদী। এই অঞ্চলে যে তিনটি মাত্র পশ্চিমবাহিনী নদী আছে, তাপি তার মধ্যে অন্যতম। অন্য নদীদুটি হল নর্মদা ও মাহি নদী। এর উৎস হল দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশের সাতপুরা পর্বতশ্রেণীর পূর্বভাগে। অতঃপর এই নদী পশ্চিমমুখে প্রবাহিত হয়ে মধ্যপ্রদেশের নিমার অঞ্চল, মহারাষ্ট্র রাজ্যের খান্দেশ ও পূর্ব বিদর্ভ অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে দাক্ষিণাত্য মালভূমির উত্তর-পশ্চিম কোণ ঘেঁষে দক্ষিণ গুজরাটের সুরাট জেলায় সুরাট বন্দরনগরীর নিকট আরব সাগরের খাম্বাত উপসাগরে পতিত হয়েছে। সমান্তরালভাবে প্রবাহিত নর্মদা নদীর সঙ্গে এই নদী উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের সীমা নির্দেশ করে। গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের সীমানার কাছে তাপি নদীর দক্ষিণে সহ্যাদ্রি বা পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উৎস।

সম্পর্কিত খবর