শান্তিনিকেতনের মূল আকর্ষণ এখন ‘অপা”, পার্থর বান্ধবীর বাড়ি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পর্যটন প্রেমী মানুষদের কাছে শান্তিনিকেতন একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানটিতে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এসে ভিড় করেন। খোয়াইয়ের নদীর ধারে হেঁটে চলে বেড়ানো হোক কিংবা বসন্তের মেলায় বাউল গানের তালে ঠোঁট মেলানো, শান্তিনিকেতন তার দর্শকদের চিরকাল আবৃত করে রেখেছে এক মধুর মায়ায়। কিন্তু জানেন কি ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনের একটি অন্যতম ভিসিন্টিং ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে “অপা!” কি অবাক হলেন তো? আসল ঘটনাটা আপনাদের খুলে বলা যাক!

কিছুদিন আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তদন্তকারীরা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিভিন্ন ফ্ল্যাট তল্লাশি করে পেয়েছেন কোটি কোটি টাকার নগদ ও লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না। এছাড়াও তদন্তকারীরা তদন্তে জানতে পেরেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র বাড়ি ও বাংলো। সেগুলির মধ্যেই অন্যতম শান্তিনিকেতনে অবস্থিত বাড়ি “অপা”। অনেকে মনে করছেন অর্পিতার “অ” আর পার্থর “পা” এই দুই মিলে বাড়ির নাম হয়েছে “অপা”। জানা যাচ্ছে প্রায় ১০ কাঠা জমির উপর তৈরি এই বাড়িটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন অজস্র মানুষ। ফ্যামিলি হোক বা বন্ধু-বান্ধব সকলকে নিয়ে এসে বাড়ির সামনে সেলফিও তুলছেন উৎসাহীরা।

সূত্র মারফত খবর, শান্তিনিকেতনের এই বাড়িটির দলিল রয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন মাঝেমধ্যেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এই বাড়িতে আসতেন। তবে কেউই পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে কখনো আসতে দেখেননি। খবরের শিরোনামে চলে আসা এই বাড়ির সামনেই এখন ভিড় জমছে পর্যটকদের। বাড়ির সামনে গেলেই দেখা মিলছে অজস্র মানুষের। কেউ আলাদাভাবে বাড়ির ভিডিও করছেন আবার কেউ তার সামনেই অবাধে সেলফিও ক্লিক করছেন।

সম্প্রতি কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসেছেন সুশোভন দাস। ব্যাঙ্গের সুরে তিনি জানিয়েছেন,”টাকার পাহাড় তো কোনদিন চোখে দেখিনি। তাই আসলাম এই বাড়িটা দেখতে। একটা অদ্ভুত আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর