বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেরলে গর্ভবতী হাতি হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) এক শেয়ালকে (Jackal) বোমা ভর্তি মাংস খাওয়ানো হল। গৃহবন্দি দশায় থাকতে থাকতে মানুষ ক্রমাগত হিংস্র হয়ে উঠছে। ফিরে আসছে আদিম মানুষের পশু শিকারের মনোবৃত্তি।
চেন্নাইতে এই শেয়াল হত্যার নক্কার জনক ঘটনার সাথে যুক্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একটি গ্রামে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে, সেখানে ওই শেয়ালটিকে দেখতে পায় বলে জানিয়েছে। ১৯৭২ সালের বন্যজীবন সংরক্ষণ আইন অনুসারে, শেয়াল একটি সুরক্ষিত প্রাণী। এই প্রাণীকে অযাচিতভাবে হত্যা করার জন্য দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী উঠেছে।
বন্যপ্রাণীদের উপর অত্যাচার
সম্প্রতি কেরলে এক গর্ভবতী হাতিকে বাজি ভর্তি আনারস খাইয়ে তাঁকে হত্যা করার ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছিল দেশের মানুষজন। এই নৃশংস্য হত্যার প্রতিবাদে দোষীদের অবিলম্বে শস্তির দাবী তুলেছিলেন সমাজের বহু শ্রেণীর মানুষজন। কিন্তু তাঁর পরও শিক্ষা পায়নি সমাজ। এই ঘটনার পর হিমাচলপ্রদেশে এক গোরুর মুখে বাজি ফাটানোর ঘটনা, অসমে এক চিতাবাঘকে খুনের ঘটনা, এবং পশু পাখির উপর অত্যাচার ক্রমশ হয়েই চলেছে।
ঘটনার বিবরণ
বন দফতরের কর্মীরা তামিলনাড়ুর তিরুচির জিয়াপুরম সংলগ্ন এলাকায় একটি ক্ষতবিক্ষত শিয়ালের দেহ উদ্ধার করেন। তারা জানায়, অনুমান করা যাচ্ছে বোমা ভরা মাংস খেয়ে শিয়ালের মুখটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা সকালের দিকে মধু সংগ্রহের উদ্যেশ্যে বনে যাওয়ার সময় এই শেয়ালটিকে দেখতে পেয়ে এই নরকীয় হত্যা খেলায় মেতে ওঠে। প্রথমে মাংসের টুকরোর মধ্যে বোমা ভরে শেয়ালটিকে খেতে দেয়। খাওয়ার সাথে সাথেই মুখের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটায় শেয়ালটি মারা যায়।
গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের
শিয়ালটাকে হত্যা করে একটি ব্যাগের মধ্যে নিয়ে চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই ১২ জনের দল। দোকানে উপস্থিত এক পুলিশ কনস্টেবলের সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুরো ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে হেফাজতে রেখেছে। অভিযুক্তরা হলেন পাতমপিল্লাই (৭৮), রামরাজ (২১), পান্ডিয়া (৩১), শ্রাবণ (২৫), সত্যমূর্তি (৩৬), রাজনামিক্কম (৭০), যেশুদাস (৩৪), রাজু (৪৫) , সার্থ কুমার (২৮), দেবদাস (৪১), বিজয় কুমার (৩৮), সার্থ কুমার (২৬)।