কোয়েরেন্টিন মানছেন না লোকজন, হোটেল কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দিয়ে করল পলায়ন

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের থেকে রক্ষা পেতে কোয়ারেন্টিন (Quarantine) ব্যবস্থা নিয়ে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) উঠল অভিযোগ। নিয়ম ছিল বাইরে থেকে এলাকায় ফিরলে তাঁকে প্রথমেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে কোয়ারেন্টিন থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার জন্য ওই সকল ব্যক্তি পুলিশকে ঘুষ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

new 222 3

কোয়ারেন্টিন থেকে বের করার অভিযোগ উঠছে
সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা (covid-19) আতঙ্কে আতঙ্কিত রয়েছে, তখন অন্যদিকে ব্যাঙ্গালুরুতে চলছে লুকোচুরির খেলা। সেখানকার কোয়ারেন্টিন থেকে ঘুষ দিয়ে বেরিয়তে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। মধ্য বেঙ্গালুরুর ডিভা রেসিডেন্সি হোটেলে যে সকল মানুষকে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছিল, তারা গ্রেটার বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন পৌরসভার (BBMP) হোটেল কর্মীদের সহযোগিতায় বেরিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে
বিবিএমপি’র বিশেষ কমিশনার রবিকুমার সুরপুর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানান, যদি এই ঘুষ দিয়ে কোয়ারেন্টিন থেকে মানুষজনের বেরিয়ে আসার ঘটনা সত্য বলে প্রমাণ হয়, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সঠিক পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না, অভিযোগ
হোটেলে উপস্থিত ব্যক্তিরা জানাচ্ছেন, যদি কেউ সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়, তাহলে তাঁর নামে থানার রিপোর্ট করতে হবে। তবে এই হোটেলের মানুষদের চিকিৎসার জন্য কোন পরিষেবা সেখানে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

ঘুষ নিয়ে হোটেল থেকে বের করা হচ্ছে
কোনও অফিসারকে তাঁদের কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান আমরা অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে তাঁদের হোটেল থেকে বাইরে বের করতে পারি। এই কথা বার্তা বিষয়ক এক অডিও রেকর্ডিং সংবাদ মাধ্যমের কাছে এসে পৌঁছায়। যেখানে এক আধিকারিক এক ব্যক্তিকে ২৭ হাজার টাকা ঘুষ দিতে বলার কথা শোনা যায়। কিন্তু হোটেল ভাড়া ১৪ দিনের জন্য মাত্র ৮২০০ টাকা। বলা হচ্ছে বাকি টাকা চিকিৎসকের ফি বাবদ দিতে হবে।

হোটেলেই রেখে দেওয়া হবে
অফিসার ডি কৃষ্ণ গৌড় জানিয়েছেন, হটেলে উপস্থিত মানুষদের ১২ দিনের মাথায় আবার চিকিৎসা করা হবে। যদি কোন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক না থাকে, তাহলে তাঁকে আরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন রাখা হবে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর