বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামীকাল রাজ্যে প্রথমদফার নির্বাচন হতে চলেছে। প্রথম দফায় দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মোট ৩০টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। প্রথম দফার নির্বাচনের প্রচার কাজ বন্ধ হয়েছে। এবার ভোটাররা ঠিক করবেন তাঁরা কাকে ভোট দেবেন, আর কাকে না। তবে প্রথম দফার ওই ৩০টি আসন বাদ দিয়ে রাজ্যের বাকি ২৬৪টি আসনে ভোট প্রচার জোর কদমে চলছে। শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত দলই ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে তাঁদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে।
আর এর মধ্যে এক তৃণমূল প্রার্থীর ভোট প্রচারে গিয়ে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ার ভিদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। হুগলীর ধনিয়াখালির প্রার্থী অসীমা পাত্র জনতার কাছে ভোট চাইতে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়েন। আর সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও তৃণমূল প্রার্থী অসীমা পাত্র ভিডিও করার জন্য বাধা দিয়েছিলেন, কিন্তু ওনার কথা শোনেনি বিক্ষুব্ধ জনতা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, তৃণমূল প্রার্থী অসীমা পাত্র যখন ভোট চাইতে নিজের কেন্দ্রের কোনও এক গ্রামে যান, সেখানে ওনাকে রোষের মুখে পড়তে হয়। স্থানীয়রা অসীমা পাত্রর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দশ বছর ধরে দেখা নেই, ভোটের সময় দেখা পাওয়া যাচ্ছে। দুই বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ গ্রামে। আপনাদের অনেক উন্নয়ন দেখেছি। সবাই ঝাঁটা বের করো। দু’বছর ধরে দেখা নেই, এখন ভোটের সময় কাজ দেখাতে এসেছে।”
স্থানীয়দের এহেন বিক্ষোভের পর চটে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অসীমা পাত্রও। তিনি ক্যামেরা বন্ধ করার জন্য এগিয়ে আসেন, কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা ক্যামেরা বন্ধ করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এরপর অসীমা পাত্র পুলিশ ডাকার ভয় দেখান, কিন্তু স্থানীয়রা তাতেও ভয় পায় না। তাঁরা বলেন, পুলিশ ডাকুন কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ হবে না। দশ বছর ধরে দেখা নেই, এখন ভোটের সময় কাজ দেখাতে এসেছে। দু’বছর ধরে ১০০ দিনের কাজও না দেওয়ার অভিযোগ করে স্থানীয়রা। গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তবে আমাদের পক্ষে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয় নি।