বাংলাহান্ট ডেস্ক: খাদ্যের অভাব, মূল্যবৃদ্ধির (Pakistan crisis) সমস্যায় কার্যত নাজেহাল অবস্থা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের। প্রতিবাদ করতে পথে নেমেছেন তাঁরা। পাক অধীকৃত কাশ্মীরের মধ্যে রয়েছে গিলগিট বাল্টিস্তান। সেখানেই কত দশ দিন ধরে কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। পাকিস্তান সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিও জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
ভারতের লাদাখের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি জানাচ্ছেন গিলগিট বাল্টিস্তানের বাসিন্দারা। সম্প্রতি সেই সব ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আন্দোলনকারীরা কার্গিলের রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, গত ১২ দিন ধরে পাকিস্তান সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছে সেখানে। পাকিস্তানে চরমে গিয়েছে খাদ্যশস্য সঙ্কট। একইসঙ্গে অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সে জন্য খাদ্যশস্যের উপর ভর্তুকি লাগু করার দাবি জানাচ্ছেন সেখানকার মানুষ।
পাশাপাশি দেশে লোডশেডিং ও অবৈধভাবে জমি দখলের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গিলগিট বাল্টিস্তানের জমি দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই সমস্যা রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের আবহে সেই সমস্যা নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন ওই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে প্রতিদিনের খাবার জোগাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের আকাশছোঁয়া দামের কারণে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এই বিক্ষোভের জেরে চাপে পড়েছে পাক সরকার।
বিক্ষোভকারীরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে বাণিজ্যের রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। দেশের এই সঙ্কট কাটাতে অর্থনৈতিক সাহায্যও চেয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তাদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সৌদি আরবের শাসক। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এই বিক্ষোভ সুবিধা করছে ভারতকে।
https://twitter.com/AhmedShahbalti/status/1610672500014481408
গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছিলেন, “গিলগিট বাল্টিস্তান এলাকায় এসে ভারতের উত্তর অংশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যায়।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত ছিল, ভারত ওই অংশের উপর বেশ ভালো রকম গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেতিই ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছিলেন পর্যকবেক্ষক মহল। তাঁদের মত ছিল, পাক অধিকৃত কাশ্মীর এলাকায় প্রচুর হিমাবহ রয়েছে। তাই সেই এলাকা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলে সেখানে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে দেশ। এ বার পাকিস্তানের বাসিন্দারা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবি জানালে বেশ লাভ হল নয়াদিল্লির।