Bangla Hunt Desk: আন্তর্জাতিক মহলে চীনের (china) দুর্নাম বহুদিন ধরেই রয়েছে। বহুবার বহু দেশকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে তাঁদেরকে নিজের দলে টানবার কৌশল চীনের নখদর্পণে। সেভাবেই চীন প্রথম থেকেই একটি সম্প্রসারণবাদী নীতি অনুসরণ করে আফ্রিকার দিকে নজর রেখেছিল। আফ্রিকার কয়েকটি দেশকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ ঋণ দিয়ে, বর্তমানে তাঁদের উপর জুলুম বাজি করতে শুরু করেছে।
আফ্রিকার কেনিয়া এবং উগান্ডাকে চীন মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার পর বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে তারা দেউলিয়া হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে এইসকল দেশের প্রতি বিনিয়োগ কোন কাজেই আসল না চীনের পক্ষে।
ম্যান্ডারিনের বিপক্ষে আফ্রিকাবাসী
চীন সরকারের লক্ষ্য আফ্রিকার স্কুল গুলিতে চাইনিজ ভাষা অর্থাৎ ম্যান্ডারিন (Mandarin) অন্তর্ভুক্ত করা। মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, তানজানিয়া এবং ক্যামেরুনেও চাইনিজ ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এই জুলুম বাজিতে একেবারেই খুশি নয় আফ্রিকাবাসী। তারা এই চাইনিজ ভাষা শেখার বিপক্ষে।
চীন একপ্রকার জোর করেই তাঁদের ভাষা অন্যান্য দেশে বাধ্যতামূলক করতে চাইছে। সম্প্রতি নেপালেও ম্যান্ডারিন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং এই ভাষার পঠন পাঠনের জন্য শিক্ষদের প্রদত্ত অর্থ চীন থেকে আসে। এইভাবে নিজেদের ভাষার মাধ্যমে অন্যান্য দেশের শিশ্যদের সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করতে চাইছে। কিন্তু আফ্রিকাবাসী তাঁদের এই ভাষা শিক্ষতে একেবারেই নারাজ।
ঋণ মুকুল করাতে চাইছে আফ্রিকান দেশগুলোও
তবে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশগুলীকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে বর্তমানে নিজেই বিপাকে পড়েছে চীন। এখন কেনিয়া, উগান্ডা এমনকি জাম্বিয়ার প্রধানরা চীন সরকারের কাছে ঋণ মুকুব করার আর্জি জানাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে চীনের চালবাজি আর কাজে দিচ্ছে না।