বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে ছড়ানো করোনা ভাইরাস (CoronaVirus) গোটা বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে মৃতদের সংখ্যা ৫৮৩৪ জন হয়েছে। দেড় লক্ষের মত মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু এই ভাইরাস গোটা বিশ্বকে নিজের প্রকোপে নিয়ে নিয়েছে, সেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা এটিকে মহামারি ঘোষণা করে দিয়েছে।
এই ভাইরাস সবথেকে বেশি ক্ষতি করেছে চীনে, যেখানে প্রায় ৩২০০ মানুষ এই ভাইরাসের কারণে মারা গেছেন। চীনের পর ইতালি এই ভাইরাসে ক্ষতি হওয়া দ্বিতীয় দেশ। সেখানে ১৪০০ এর বেশি মানুষ এই ভাইরাসে মারা গেছেন আর ২১ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আরেকদিকে ইরানে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৬১ আর ১৩ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতে এখনো পর্যন্ত ১০৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আর দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউরোপ, আমেরিকা আর এশিয়ার দেশ গুলোতেও এই ভাইরাস মহামারি সৃষ্টি করেছে। আর এই ভাইরাসের সাথে মোকাবিলায় সেই ভারত সরকার যেই পদক্ষেপ গুলো নিয়েছে, মানুষ সেই পদক্ষেপ গুলোর প্রশংসা করছে। ১৩০ কোটির দেশে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকারের প্রচেষ্টাকে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মাও খুশি হয়েছেন আর প্রশংসাও করেছেন। উনি বলেছেন সরকারের প্রচেষ্টা সন্তোষজনক।
উল্লেখ্য, ভারতে এই ভাইরাস ঢোকার পরেই সরকার এই ভাইরাস আটকাতে সংক্রমিত মানুষদের চিহ্নিত করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিয়েছিল। ভারত ২২ জানুয়ারি থেকেই এই ভাইরাসের প্রতি সতর্কতা দেখিয়ে বিমানবন্দর গুলোতে পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছিল।
আরেকদিকে, বিদেশে ফেঁসে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করার জন্য ভারত সবথেকে বেশি বিমান পাঠিয়েছে। চীন, ইরান, ইতালি সমেত সমস্ত দেশ গুলো থেকে ভারত তাঁদের হাজার হাজার নাগরিকদের উদ্ধার করেছে। সরকার প্রথম থেকেই আইসোলেশন ক্যাম্পের ব্যবস্থা করে রেখেছিল, বিদেশ থেকে আসা ভারতীয়দের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এছাড়াও অন্য দেশের পর্যটকদেরও সেখানে রাখা হয়েছিল।
নিউজার্সি থেকে ভারতে ফেরা এক ব্যাক্তি বলেন, বিমানবন্দরে নামার পরেই স্বাস্থ আধিকারিক প্রতিটি যাত্রীর পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে। এরপর অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের পরীক্ষা চালাচ্ছে। তারপর যাত্রীরা ব্যাগেজ বেল্টের পাশে যায়, যেটা সম্পূর্ণ ভাবে চারিদিক থেকে ঘেরাও করা। সেখানে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যে, যাত্রীরা শুধুমাত্র নিজের ব্যাগেজের পাশেই যেতে পারবেন। উনি বলেন, এতটাই ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে যে, কোন সময় অপচয় না করেই তাড়াতাড়ি সেখান থেকে বের হওয়া যায়। উনি বলেন, আমি এক সপ্তাহ আগেই ডেলাসে, নিউজার্সি আর ফ্র্যাঙ্কফুট বিমানবন্দর হয়ে এসেছি, সেখানে এরকম কোন ব্যবস্থাই নেই।
আরেকদিকে বরুণ সুর ট্যুইট করে বলেন, লন্ডন বিমানবন্দরে মানুষ মাস্ক না পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনকি তাঁরা কাসছেও আর তাঁদের কোন পরীক্ষা না করেই বিমানে তোলা হচ্ছে। সুরের এই দাবির পর তরুন শুক্লা প্রশ্ন করলে সমীর সরণ নামের এক ব্যাক্তি বরুণের দাবিকে সত্য বলেন। আর তিনি বলেন, দুবাই আর জেএফকে এয়ারপোর্ট (John F. Kennedy International Airport) থেকে দিল্লী এয়ারপোর্টে পা দেওয়া অনেক সুরক্ষিত ছিল।