Bangla Hunt Desk: দেশে বেকারত্বের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কাজের সন্ধানে মানুষ এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। এরই মধ্যে জয়পুর (Jaipur) থেকে এমন খবর প্রকাশিত হল, যা দেখে অবাক হয়ে গেল গোটা দেশ। কর্মহীন হওয়ায় ভিক্ষাবৃত্তি করছে সমাজের বহু শিক্ষিত মানুষ।
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির মত বেকারত্বের সংখ্যাও দিনে দিনে সীমারেখার গন্ডি অতিক্রম করে ফেলছে। বর্তমান দিনে দেশের কাজের তুলনায় মানুষের পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে। সরকার কর্ম সংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করতে অসমর্থ হয়ে পড়ছে।
কাজের অভাবে বাছতে হয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি
সম্প্রতি জয়পুর পুলিশ এমন এক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে, শুনে তাজ্জব বনে গেছেন অনেকেই। রাজস্থানের পথে ঘাটে ভিক্ষারির সংখ্যা নেহাত কম নয়। একটু সমীক্ষা করে দেখা গেছে, এই ভিখারিদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষিত মানুষ। কেউ এমএ পাশ করেছেন, আবার কেউ আবার এম কম করেছেন। কিন্তু কর্ম সংস্থানের অভাবে তারা রাস্তায় বসে ভিক্ষার পথ বেছে নিয়েছেন।
সংসারে একা হওয়ায় কোনরকমে দিন চলে
সমীক্ষা করে দেখা গেছে, রাজস্থানের গোবিন্দগড়ের বাসিন্দা বছর ৩৪ -এর পবন এমকম করে একটি কারখানায় কাজ করতেন। কিন্তু সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আজমির রোডে ২০০ ফুট বাইপাসে ভিক্ষা করছেন। অবিবাহিত হওয়ায় মাঝে মধ্যে কেউ কাজের সন্ধান দিলে কাজ করে, অন্যথায় ভিক্ষাই তার পেশা।
অন্যদিকে ঝুনঝুনু জেলার ডুন্ডলডের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী মুকেশ এমএ পর্যন্ত পড়াশুনা করে বর্তমানে কাজের অভাবে জয়পুর শহরের নাহারগড় থানা এলাকার ছোট চৌপারে ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের পেট চালায়। সংসারে সে একা হওয়ায় কোনক্রমে তার দিন কেটে যায়।
পাশে দাঁড়াল জয়পুর পুলিশ
জয়পুর পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালিয়ে আরও জানতে পারেন, জগদীশ গুপ্ত, রমেশ ও শৈলেশ এরকম বহু মানুষ আছেন, যারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও কাজের অভাবে ভিক্ষা করে পেট চালান। শহর জুড়ে প্রায় ১১৬২ জন ভিখারির মধ্যে ৪১৯ জন জানিয়েছেন, কাজ পেলে তারা ভিক্ষা করা ছেড়ে দেবে।
জয়পুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অজয় পাল লাম্বা জানিয়েছেন, রাজস্থানের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে আমাদের পুলিশ টিম বিভিন্ন ভিখারিদের সঙ্গে কথা বার্তা বলছে। এদের মধ্যে যারা পড়াশুনা করেত চায় অথবা কাজ করতে চায়, সরকারী ভাবে তাঁদের সাহায্য করা হবে।