পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ জনএনআরসি নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কে ভুগছেন। গত কয়েক দিনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা প্রান্তে যে ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, তাতে বিষয়টা আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যেও সীমাবদ্ধ নেই। দেগঙ্গায় দিন কয়েক আগে এনআরসি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে মুসলিমরা ছাড়াও কয়েকটি হিন্দু সংগঠনের লোকজনও ছিলেন। ঠিক হয়েছে, যে ভাবে হোক, এনআরসি রুখতেই হবে।
আখতার আলি, বয়স প্রায় সত্তর ছুঁইছুঁই, বাড়ি ভাঙড়ে। স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে এসেছেন বিয়ে করতে।
বহু বছর আগে কলমা পড়ে নিকাহ হয়েছিল। কাগজে-কলমে কোনও নথি নেই। এনআরসি-র ফলে বুড়ো বয়সে স্বামী-স্ত্রীর হাঁড়ি আলাদা হবে না তো? ভয় চেপে বসেছে আখতারের মনে।
শুধু আখতার নন, ভাঙড় ১ ব্লকের এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার জানালেন, মাসখানেকের মধ্যে খাতায়-কলমে বিয়ে সারতে আসা দম্পতির সংখ্যা অন্তত পঞ্চাশ। কারও কারও দাম্পত্যের বয়স বিশ-তিরিশ বছরের বেশি। এনআরসি-র ভয়ে নাতিপুতি নিয়ে এখন আসছেন বিয়ে করতে।