বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ডিসেম্বর মাসে আবাস যোজনার (Awas Yojana) উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও এই সরকারি প্রকল্পে (Government Scheme) নিজেদের কোষাগার থেকে টাকা দিয়েছে রাজ্য। এবার সেই টাকা নিয়েই দেওয়া হল বড় নির্দেশ। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আবাস (Awas Yojana) প্রাপকদের টাকা ফেরানোর নির্দেশ ঘিরে হইচই!
আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর পর থেকেই রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে বহু অভিযোগ সামনে আসছিল। গত সপ্তাহে যেমন বাংলা আবাস যোজনা তথা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রশাসনের নজরে দু’টি অনিয়ম এসেছিল। দুই ক্ষেত্রে জেলাশাসক আয়েশা রানি জানান, তদন্তে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হবে। এবার অভিযোগ প্রমাণিত হতেই টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হল।
অভিযোগ উঠেছিল, মেমারি ১ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে উন্নয়নের নামে বাংলা আবাস যোজনার (Awas Yojana) গ্রাহকদের থেকে হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এই খবর সামনে আসতেই তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েতের সচিবকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়।
আরও পড়ুনঃ বিয়েতে প্রেমিকের মায়ের মত নেই মানেই প্রেমিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তোলপাড়
জানা যাচ্ছে, জেলা প্রশাসনের তদন্তে জানা যায়, ব্লক অফিসেই কার্যত বৈঠক করে বাংলার বাড়ি (Banglar Bari) উপভোক্তাদের থেকে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে জেলাশাসক চেপে ধরতেই ‘চাপে’ পড়ে যায় ব্লক প্রশাসন। ব্লক থেকে পঞ্চায়েতের কাছে ফোন যায়। বাংলার বাড়ি-প্রাপকদের থেকে উন্নয়নের খাতে ওই টাকা নিতে নিষেধ করা হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, যাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, ইতিমধ্যেই তাঁদের টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত সোমবার মেমারি ১ ব্লকের দুর্গাপুর পঞ্চায়েত এবং নিমো ২ পঞ্চায়েত বাংলা আবাস যোজনা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছে। এখনও অবধি দুর্গাপুর ১ পঞ্চায়েত ৬ জনকে ও নিমো ২ পঞ্চায়েত ৪ জনকে টাকা ফেরত দিয়েছে। প্রশাসনকে রিপোর্ট দিয়ে সেকথা জানানো হয়েছে বলে খবর।
সেই সঙ্গেই সরকারি এই প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম পঞ্চায়েতের কুরুম্বা গ্রামে এই অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রামের তিন জন বাসিন্দা জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। তাঁরা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বুথ সভাপতি সহ কয়েকজন বলেছেন, আবাস যোজনার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে হলে তাঁদের ৩০০০ টাকা করে দিতে হবে।
দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন না, এই ভয়ে তাঁরা সেই টাকা দিয়ে দেন। এদিকে সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিত হতেই তদন্তের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। তদন্তে উঠে আসে, বাংলা আবাস যোজনার (Awas Yojana) একজন উপভোক্তার থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। বাকি দু’জনের থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক জানিয়েছেন, যার থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।