লাগাতার বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’রা। এবার মুখ খুললেন অভিষেক ব্যানার্জি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) পূর্বে অভিনব ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সমস্যা নিরসনে তাঁদের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। তবে সেই নিয়েও বিপত্তি কম হচ্ছে না। লাগাতার জনগণের রোষের মুখে পড়ছেন দিদির দূতরা। সে নিয়ে শাসকদলকে বিধঁতে বিন্দুমাত্র দেরী করছেনা বিরোধী শিবির। তবে এই নিয়ে এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মুখে শোনা গেল একেবারেই ভিন্ন কথা।

‘দিদির দূতদের’ ঘিরে মানুষের ক্ষোভ আসলে তৃণমূলের প্রতি মানুষের আশীর্বাদ। ঠিক এমনই ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শনিবার নিজের গড় ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছিলেন তিঁনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেতা বলেন, ‘‘মানুষ যাদের দেখে, তার উপরেই ক্ষোভ উগরাবে। বিজেপির সাংসদদের এলাকায় দেখা যায় না। আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত। তাই মানুষের কাছে যাচ্ছি। মানুষের ক্ষোভ আমাদের আশীর্বাদ।’’

পাশাপাশি, দলের কর্মীদের মনোবল বাড়িয়ে তাঁদের উদ্দেশ্য অভিষেকের বার্তা, ‘‘কেউ বিচলিত হবেন না, উপেক্ষা করুন। আমি নিজেও ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ করব। আমরা ভোটের সময় ভোট পাখি হয়ে আসিনি।’’ প্রসঙ্গত, সেই শুরুর দিন থেকে এই কর্মসূচিকে ঘিরে কম বিতর্ক ছড়ায় নি। তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ থেকে শুরু করে হেভিওয়েট নেতামন্ত্রী কেউই ছাড় পাননি জনগণের ক্ষোভ থেকে। প্ৰতিনিয়ত এই একই ঘটনায় কার্যতই নাজেহাল শাসকদল।

abhishek

অন্যদিকে, এদিনই কর্মসূচীতে গিয়ে কোচবিহারের শহিদ বন্দনা স্মৃতি মহিলা হোমের গেট থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণকে। তাঁর অভিযোগ, “পরিচয় দেওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছি। শেষ পর্যন্ত নিজেই ফিরে এসেছি।” পাশাপাশি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ জানান, “কোথায় কী সমস্যা জানতেই যাওয়া। সেটাই হল না। বিষয়টি জেলাশাসককে জানাব। সমাজকল্যাণ মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানাব। কোনও খামতি আড়াল করতে ঢুকতে দেওয়া হল না কি না দেখা দরকার।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর