বাংলাদেশে একের পড় এক মন্দিরে হামলা, অবশেষে সমস্ত হিন্দুরা একজোট হয়ে চট্টগ্রামে শুরু করলো প্রতিবাদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাধারণত পুজো পার্বণ অনুষ্ঠানে বারবার সৃষ্টি হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির। কিন্তু বাঙালির সবথেকে বড় অনুষ্ঠান দুর্গা পুজোতেই এবার ঘটেছিল এক অপ্রীতিকর ঘটনা। বাংলাদেশের (Bangladesh) কুমিল্লায় এক পূজামণ্ডপ থেকে কোরআন উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ভয়ানক সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের বাতাবরণ। কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পারে পুজা মণ্ডপ থেকে বুধবার সকালে পবিত্র কোরআন উদ্ধার করেন কোতোয়ালী থানার ওসি। এরপরেই নানাভাবে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের প্রায় ১০ জেলায়।

কুমিল্লার ওই পূজামণ্ডপ সহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে চালানো হয় ভাঙচুর। প্রতিমা ভেঙে দেওয়া হয় কাছাকাছি ছাতিপাড়া কালী মন্দিরের হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলার জেরে চাঁদিপুরে নিহত হন চারজন সাধারণ নাগরিক। প্রায় ১৫ টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর এবং আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই স্বাভাবিকভাবে উত্তাল হয়ে রয়েছে দুই বঙ্গ। ইতিমধ্যেই কলকাতার একাধিক পূজা কমিটি এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি আগেই জানিয়েছিলেন, কুমিল্লার পর চাঁদপুর, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে মন্দির ও মণ্ডপে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়েছি।

এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠল চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম থেকে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিপুল পরিমাণ মানুষ এসে জড়ো হয়েছেন চট্টগ্রামে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মূর্তি ভাঙার এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল বারোটা অব্দি প্রতিমা নিরঞ্জন বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের মতে, এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে আজ সরব হয়েছে কুমিল্লাসহ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষ। রানা দাশগুপ্ত সহ পূজা কমিটির একাধিক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তারা। আগামী দিনে আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।

অবশেষে……………….
মনেহয় একটু হলেও হিন্দুরা জেগেছে , চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা ও জেএমসেন হলের নিকটে চট্টগ্রামের আপামর সনাতনী জনতার প্রতিবাদ সভা তারই প্রমান.@BJP4Bengal @Shantanu_bjp @DrSukantaBJP @Amitava_BJP @subrata_bjp pic.twitter.com/LKCUWZC1aL

— Debdas Mondal (@Debdas4Bjp) October 15, 2021

জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৩ জনকে। বাংলাদেশের একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। নামানো হয়েছে বিজিবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন এই ঘটনায়। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ধর্মীয় সম্প্রদায় নির্বিশেষে তারা প্রত্যেকেই শাস্তি পাবেন।