পুষ্পাই অনুপ্রেরণা, আল্লু অর্জুনের স্টাইলে কোটি টাকার রক্ত চন্দন পাচার করতে গিয়ে গ্রেফতার ১

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সিনেমা বহুযুগ ধরেই মানুষকে প্রভাবিত করে আসছে। পাশাপাশি, বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে তৈরি সিনেমাগুলি থেকেই বেশি করে প্রভাবিত হয় দর্শকমহল। সম্প্রতি দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনের সিনেমা “পুষ্পা; দ্য রাইজ”। ইতিমধ্যেই সুপারহিট হয়েছে সিনেমাটি। দর্শকদের কাছে থেকে ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন।

একদম বাস্তব ঘটনার ওপর নির্মিত এই সিনেমায় রক্ত চন্দনের মত দুষ্প্রাপ্য এবং বহুমূল্য কাঠের চোরাচালানকারীদের প্রসঙ্গই তুলে ধরা হয়েছে। এদিকে, আল্লু অর্জুনের মত রক্ত চন্দন কাঠের চোরাচালান করতে গিয়ে বাস্তবের মাটিতেই গ্রেফতার হয়ে গেলেন ১ জন।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইয়াসিন ইনাইতুল্লা নামের এক ব্যক্তি কর্ণাটক-অন্ধ্র সীমান্ত থেকে মহারাষ্ট্রে যাওয়ার পথে তাঁর ট্রাকে লাল চন্দন কাঠ নিয়ে যাচ্ছিলেন। সাংলি জেলার মেরাজ নগরে গান্ধী চকের কাছাকাছি মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকে সীমান্ত অতিক্রম করার পরে আটক করে।

তাঁর কাছ থেকে প্রায় ২.৪৫ কোটি টাকা মূল্যের চন্দন কাঠ এবং ১০ লক্ষ টাকার ট্রাকটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে সাংলির পুলিশ সুপার দীক্ষিত গেদাম বলেছেন, “আমরা চন্দন কাঠের বেআইনি চালানের গোপন তথ্য পেয়েছি। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বন দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে যৌথ অভিযান শুরু করি। এই অভিযানে একজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং একটি ট্রাকও বাজেয়াপ্ত করেছি আমরা।”

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “ওই ব্যক্তির ট্রাক থেকে আমরা ২.৪৫ কোটি টাকার প্রায় ১ টন চন্দন কাঠ খুঁজে পেয়েছি এবং ট্রাকটির দাম প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। আমরা আইপিসি ধারা ৩৭৯, ৩৪-এর অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করেছি।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, “পুষ্পা” সিনেমায় আল্লু অর্জুনকে একটি ট্যাঙ্কারে প্রথমে চন্দন কাঠ স্তূপ করে তারপরে দুধ দিয়ে চালান করতে দেখা যায়। ওই সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অভিযুক্ত ইয়াসিন প্রথমে লাল চন্দন ট্রাকে ভরে তারপর তাতে ফল ও সবজির বাক্স রেখে দেন। পাশাপাশি, তাঁর ট্রাকে COVID-19-এর গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের একটি স্টিকারও লাগানো ছিল।

এই বছরের জানুয়ারিতে, চিল্লাকুর মন্ডলের নেল্লর-চেন্নাই হাইওয়েতে বুধনম টোল প্লাজায় একটি অভিযান চালানোর পরে, নেল্লর পুলিশ রক্ত চন্দন পাচারের সাথে জড়িত একটি আন্তঃরাজ্য গ্যাং-কে গ্রেফতার করেছিল। ওই অভিযানে ৫৫ জন কাঠুরিয়া ও ৩ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়।

পাশাপাশি, তামিলনাড়ুর বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে চিনে চালানের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪৫ টি রক্ত চন্দনের কাঠকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই তল্লাশির সময় একটি গাড়ি, ৩১ টি মোবাইল, ২৪ টি কুঠার এবং অন্যান্য গাছ কাটার সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর