বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেশে ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামে নাজেহাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে পেট্রোলের দাম, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিজেলের মূল্যও। এমতাবস্থায়, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পরোক্ষভাবে দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রেরও!
তবে, অদূর ভবিষ্যতের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর! পাশাপাশি, প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনকেও টেক্কা দিতে চলেছে ভারত। ইতিমধ্যেই International Energy Agency (IEA)-র রিসার্চের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে, ইথানলের অন্যতম বৃহত্তম বাজার হতে চলেছে ভারত।
এমনকি, ওই রিসার্চ মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, ২০২৬ সালের মধ্যে আমেরিকা ও ব্রাজিলের পরেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ইথানলের মার্কেট হিসেবে উঠে আসবে ভারতের নাম। পাশাপাশি, ২০২৬-এর মধ্যেই ইথানল ব্যবহারকারী হিসাবে চিনকেও টেক্কা দেবে ভারত।
এই সংস্থা আরও জানিয়েছে, ইথানল মিশ্রণ সম্প্রসারণে ভারত দ্রুত আগ্রতি করছে। ২০১৭ সালে যেখানে ব্লেন্ডিং ছিল ২ শতাংশ সেখানে ২০২১ সালে সেই পরিমাণ ৮ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে, শীঘ্রই এটি ১০ শতাংশে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে ইথানলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে তাতে বিরাট লাভবান হবেন সাধারণ মানুষ। কারণ, এর ফলে জ্বালানির খরচ অনেকটাই কমবে। ফলত, পরিবহনের ভাড়াও কমবে। কারণ ইথানলের দাম পেট্রোল-ডিজেলের তুলনায় অনেকটাই কম।
ইথানল হল একটি জৈব জ্বালানি যা আখ এবং ভুট্টা থেকে তৈরি হয়। সাধারণত, পেট্রোল এবং ডিজেলের বিকল্প জ্বালানি হিসাবে এই ইথানল ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি, ইথানল পোড়ালে কোনো কণা বাতাসে নির্গতও হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, ইথানল পরিষ্কার এবং একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি হিসেবে কাজ করে।
বর্তমানে ভারতে এক লিটার ইথানলের দাম ৬২.৬৫ টাকা। অপরদিকে এক লিটার পেট্রলের দাম ১০০ টাকারও বেশি। অর্থাৎ পেট্রোলে ইথানল মেশানোর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জ্বালানির দাম অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
এই প্রসঙ্গে গত বছরের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন যে, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পেট্রোলে ২০% ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায়। আগে এই সময়সীমা ধরা ছিল ২০৩০ সাল। উল্লেখ্য, ব্রাজিল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই পেট্রোলের পরিবর্তে ইথানলকে ব্যবহার করা হচ্ছে