বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শেষ কয়েক মাসে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। শেষ ছমাসে এই নিয়ে দাম বাড়ল প্রায় ৪৫ বার। পেট্রোল-ডিজেলের এই দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। পরিবহন খরচ বাড়ার ফলে রোজই দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। আর নাভিঃশ্বাস উঠছে আমজনতার। একদিকে যখন ভাইরাসের জেরে চলছে লকডাউন, লকডাউনের জেরে কাজ হারাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ, তখনই অন্যদিকে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে আগুন লেগেছে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে। সবমিলিয়ে নাকাল পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের।
ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রতিবাদে নেমেছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য দল গুলি। কিন্তু সরকারের যেন কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখনও যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। তবে ট্যাক্স ছাড়তে রাজি নয় কোন সরকারই। যার জেরে বিপদে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই মুহূর্তে কলকাতায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রায় সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। বুধবারের দর অনুযায়ী কলকাতা লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে আরও ২৪ পয়সা। যার ফলে তা দাঁড়ালো ৯৬ টাকা ৫৮ পয়সায়। অন্যদিকে ১৩ পয়সা বেড়ে কলকাতায় ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকা ২৫ পয়সা।
একই অবস্থা দেশের অন্যান্য শহরগুলিতেও। চেন্নাইতে লিটার প্রতি ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ০৪ পয়সা। অন্যদিকে প্রায় ২৬ পয়সা বেড়ে পেট্রোলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৬৯ পয়সায়। মহানগর গুলির মধ্যে এই মুহূর্তে ডিজেল পেট্রোলের দাম মারাত্মক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে মুম্বাইতে। এই মুহূর্তে মুম্বাই বাসীর জন্য ১ লিটার পেট্রোলের দাম গতদিনের তুলনায় প্রায় ২৮ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৮২ পয়সায়। অন্যদিকে এক লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৮৪ পয়সায়। রাজধানী দিল্লিতে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৮৭ টাকা ৪১ পয়সা হলেও, পেট্রোলের দাম প্রায় ৯৬ টাকা ৬৬ পয়সা।
পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে যে সোজাসুজি টান পড়বে মানুষের পকেটে একপ্রকার মেনে নিয়েছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। তবে তার মতে করোনা ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করছে সরকার। যার জেরে এই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখন আগামী দিনে কবে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।