গরিবের উপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শাহবাজ সরকারের, পাকিস্তানে তেলের দাম বাড়ল ৩৫ টাকা লিটার

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। সে দেশের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার তলানিতে চলে যাওয়ায় অন্যান্য দেশ থেকে জিনিস আমদানিও করতে পারছে না পাকিস্তান। সে জন্য বিভিন্ন দেশ-সহ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছে তারা। এদিকে আইএমএফ-এর তরফে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে।

শেহবাজ শরিফকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি মিনি বাজেট পেশ করতে হবে। যার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে জিনিসের দাম আরও বাড়বে। একইসঙ্গে পাক রুপির উপর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছিল। এ বার সাধারণ মানুষের উপর কার্যত পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলেন (Pakistan Petrol Price Hike) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

Pakistan Petrol Price Hike

দুর্ভোগে থাকা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে জ্বালানির দাম আরও বাড়ানো হল জিন্নার দেশে। জানা গিয়েছে, লিটার প্রতি প্রায় ৩৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এর জেরে হাহাকার চলছে দেশজুড়ে। মেলসি, কুসুর ও শাবাবীর মতো জায়গায় পেট্রোল পাম্প বন্ধেরও খবর মিলেছে। অন্যান্য জায়গায় পেট্রোল পাম্পের বাইরে লম্বা লাইনও দেখা গিয়েছে।

নতুন দাম কার্যকর হওয়ার আগেই পেট্রোল পাম্পগুলিতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাক সরকার সূত্রে খবর, পেট্রোল ও ডিজেলের এই নতুন দাম ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে। এই দুই জ্বালানির দামই প্রতি লিটারে ৩৫ টাকা অবধি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে কেরোসিন ও হাল্কা ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ১৮ টাকা করে বেড়েছে। 

Pakistan Petrol Price Hike

সরকারের এই ঘোষণার পর সে দেশে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ২৪৯.৮০ পাক রুপি। অন্যদিকে, ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ২৬২.৮০ পাক রুপি। পাকিস্তানে এমনিতেই জিনিসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার উপর জ্বালানির দাম বাড়ার ফলে দেশের একাধিক পেট্রোল পাম্পেই তালা ঝুলছে। ফয়সলাবাদ ও মেলসিতে পেট্রোল পাওয়াই যাচ্ছে না। এর ফলে মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা গিয়েছে।, এদিকে শনিবার আরও পতন হয়েছে পাক রুপির।

জানা গিয়েছে, গুঞ্জাওয়ালার পেট্রোল পাম্পগুলির কাছে আর মাত্র ২০ শতাংশ পেট্রোল অবশিষ্ট রয়েছে। এছাড়াও রহিম ইয়ার খান, বাহওয়ালপুর, সিয়ালকোট ও ফয়সলাবাদেও ভয়াবহ জ্বালানির ঘাটতি দেখা গিয়েছে। যদিও সরকারের তরফে এই রিপোর্টগুলির সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। জানানো হয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের জন্য জ্বালানির দামে কোনও হেরফের করার পরিকল্পনা নেই সরকারের। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুনে শ্রীলঙ্কাতেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তারপরেই সেখানে বিপ্লব হয়। 


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর