বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বেকারত্বের জ্বালা ক্রমশই আরও তীব্র হচ্ছে। শিক্ষিত বেকারদের জন্য সেভাবে নেই চাকরি। বারবার আন্দোলনের পথে নামছেন বেকার যুবকরা। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনেও জমায়েত করতে দেখা গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। একটা সময় রাজ্যের বেকারত্ব কমাতে কার্যত ‘চপ শিল্পের’ নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক সভায় তিনি বলেছিলেন , “আমার পাড়ায় এমন কয়েকজন আছেন, যাদের তেলেভাজার দোকান রয়েছে। যারা এই তেলেভাজার দোকানের মাধ্যমেই চার-পাঁচ-দশতলা বাড়ি করেছেন, ব্যবসা বাড়িয়েছেন। এদের আমি চিনিও। দেখুন ইচ্ছে থাকলে, ঠিক উপায় হয়ে যায়।”
যেকোনো শিক্ষিত যুবকের কাছে এটা যে কত বেদনাদায়ক তা বলাই বাহুল্য। এ নিয়ে একাধিকবার সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলিকেও। এমনকি বেশ কিছু বিজেপি নেতাকে তেলেভাজা ভেজে এর প্রতিবাদ জানাতেও দেখা গিয়েছিল। তবে সে সবই নির্বাচনের আগের ঘটনা।
কিন্তু সম্প্রতি সিউড়ি থেকেও উঠে আসে এমনই এক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রীর কথাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহার করে নিজের দোকানের নামে চপ শিল্প রেখেছিলেন এক শিক্ষিত যুবক। যুবকের নাম আফতাবউদ্দিন খান। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি একজন শিক্ষিত বেকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কথা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েই দোকানের এইরকম নাম রেখেছেন তিনি। দোকান ভালো চলছে সে কথাও জানিয়েছিলেন আফতাব।
https://www.facebook.com/100063883293249/posts/212243830915059/?sfnsn=wiwspmo
এবার ফের একবার এমনই একটি দৃশ্য ভাইরাল হলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটি উত্তরদিনাজপুর জেলা শিল্প কেন্দ্রের। আর গেটের ঠিক সামনেই রয়েছে একটি চপের দোকান। যা দেখে নেটিজেনদের মধ্যে ফের একবার শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কেউ বলছেন, “ঠিকই তো চপ শিল্প তে উন্নতি হয়েছে এবার দেখতে পাবেন নতুন প্রকল্প চপশ্রী।” অনেকে আবার এই সূত্র ধরে টেনে এনেছেন প্রধানমন্ত্রীর কথাও। একটি ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন, কেউ যদি আপনার অফিসের বাইরে পকোড়ার ঠেলা লাগায়, এবং দিনশেষে ২০০ টাকা রোজকার করে ঘরে ফেরে। তাকে আমরা রোজকার বলবো কি বলবো না? সেই সূত্র ধরেই অনেকে টেনে আনছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গও। যদিও ছবিটা রাজ্যের। বেকারত্বের পরিস্থিতি যে রাজ্যে ভয়ঙ্কর এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই।